গর্ভগৃহে ভক্তদের প্রবেশের অনুমতি না থাকলেও খোলা থাকবে কালীঘাট মন্দির। বাইরে থেকে করা যাবে দর্শন। নাটমন্দির থেকেও মায়ের মূর্তি দর্শন করতে পারবেন পূণ্যার্থীরা।
সংক্রমণের চূড়ায় দাঁড়িয়ে বাংলা। কলকাতাতেও(Coronavirus in Kolkata) ঝড়ো ইনিংস খেলছে মারণ করোনা। এদিকে বর্তমানে প্রত্যহ রাজ্যে ১৫ হাজারের কাছাকাছি দৈনিক করোনা সংক্রমণ(Daily corona infection) দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। যার মধ্যে সিংহভাগই কলকাতার। যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিলই। অবশেষে করোনার দাপটে ফের বন্ধ হয়ে গেল কালীঘাট(Kalighat Temple)। সঙ্কটজনক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই কালীঘাট মন্দিরের গর্ভগৃহে ভক্তদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। মূলত ভক্তদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি। তবে গর্ভগৃহে ভক্তদের প্রবেশের অনুমতি না থাকলেও খোলা থাকবে কালীঘাট মন্দির(Kalighat temple)। বাইরে থেকে করা যাবে দর্শন। নাটমন্দির থেকেও মায়ের মূর্তি দর্শন করতে পারবেন পূণ্যার্থীরা।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী আগামী ১১-২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। এই সময়ে শুধুমাত্র পালাদার ও সেবায়েতরা প্রয়োজনমতো মন্দিরের গর্ভগৃহে নিত্যপুজোর কাজ করতে পারবেন বলে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। এদিকে গত ১লা জানুয়ারিও কালীঘাটের মন্দির বন্ধ ছিল। কেবল গর্ভগৃহ নয়, সেবার সমগ্র কালীঘাট মন্দির চত্বরেই ভক্ত ও দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তবে এবার অতটা কড়াকড়ি না হলেও বন্ধ হয়ে গেল গর্ভগৃহের দরজা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন সময়ে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে কালীঘাট। সেই সময়েও শুধুমাত্র পালাদার ও সেবায়েতরা মন্দিরে ঢুকতে পারতেন। যদিও করোনা প্রকোপ কমে আসায় গত ২২ জুন থেকে খুলে দেওয়া হয় কালীঘাট মন্দির।
যদিও মন্দির খোলা রাখার ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া হয় নির্দিষ্ট সময়সীমা। প্রথমে সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত মন্দির খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও পরে বিকেলে ৪টে থেকে ৬টা পর্যন্ত মন্দির খোলা রাখার বিষয়ে ভক্তদের জানানো হয়। একই সময়ে বেশি ভিড় এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের করোনা বুলেটিন(Corona Bulletin of the Department of Health) বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১৫,৪২১ জন। যা তার আগের দিনের থেকে প্রায় ১ হাজার বেশি। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জন রোগীর। সবমিলিয়ে রাজ্যে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৬,৯৩,৭৪৪ জন। তবে গত ১ দিনে রাজ্যে করোনামুক্ত হয়েছেন ৭,৩৪৩ জন, এমনটাই বলছে রাজ্য সরকারের বুলেটিন।