সন্তান দত্তক নিতে গিয়ে শিশু পাচারকারী চক্রের ফাঁদে পড়লেন শহরের এক দম্পতি। অভিযোগ, উত্তরবঙ্গের ওই চক্রের কাছে তাঁরা প্রতারিতও হয়েছেন। ইতিমধ্য়েই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরেক অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন, করোনা মোকাবিলায় সতর্ক কলকাতা চিড়িয়াখানা, কড়া নজরদারি বিদেশিদের ওপরে
সূত্রের খবর, কাশীপুরের ওই নিঃসন্তান দম্পতির কোলে শিশুপুত্রকে তুলে দেওয়ার নাম করে প্রায় ২ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু শিশুকে কাছে পেয়ে তাঁরা দেখেন যে সে বিশেষভাবে সক্ষম এবং অসুস্থ। কাশীপুরের বাসিন্দা ওই দম্পতি জলপাইগুড়ির চন্দনা চক্রবর্তী এবং সঞ্জীব নামে দুজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে আগের থেকেই একাধিক অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে চন্দনা আপাতত সিআইডি হেফাজতে। এই ঘটনা ফাঁস হতেই জায়গা ছেড়ে পালিয়েছে অভিযুক্ত সঞ্জীব। এই মুহূর্তে তাঁর তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন, মাধ্য়মিক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে অসহযোগিতা, প্রধান শিক্ষকের বেতন বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৫ সালে প্রথম এই ঘটনার সূত্রপাত। কাশীপুরের ওই নিঃসন্তান দম্পতি সন্তান দত্তক নেওয়ার জন্য় জলপাইগুড়ির একটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখনও ওই দম্পতি ভূল করেও ধরতে পারেননি যে তারা ২ লক্ষ টাকা আসলে পাচারকারী চক্রের হাতে দিচ্ছেন। ভুয়ো ওই সংস্থার মিথ্য়ে প্রতিশ্রুতি বুঝতে অনেকটা সময় বেরিয়ে যায়। কন্য়া সন্তান দত্তক নিতে চেয়ে শেষ অবধি কিছুই না পেয়ে ওই দম্পতির সন্দেহ হয়। বুঝতে পারেন তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এর পরই তারা পুলিশকে গোটা ঘটনাটি জানান। অপর দিকে শিশু পাচার চক্র চালানোর অভিযোগে ২০১৭ সালে চন্দনা সিআইডি র হাতে গ্রেপ্তার হয়। তার বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন হোম থেকে শিশু পাচারের অভিযোগ ওঠে। এর পিছনে যে একটি আন্তর্জাতিক চক্র রয়েছে, তা-ও জানতে পারে সিআইডি। কাশীপুরের ওই দম্পতি এই খবর পেয়ে সিআইডির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এই মুহূর্তে পুরো ঘটনাটির তদন্তে রয়েছেন লালবাজার থানার পুলিশ।