সংক্ষিপ্ত
- ছাত্রীকে মাধ্য়মিকে বসতে বাধা দিলেন প্রধান শিক্ষক
- এরপরই হাইকোর্টে মামলা করেন ছাত্রীর অভিভাবক
- কলকাতা হাইকোর্ট অ্য়াডমিট কার্ড দেওয়ার নির্দেশ দেয়
- তাই তদন্ত চলাকালীন বন্ধ থাকবে ওই শিক্ষকের বেতন
ছাত্রীকে মাধ্য়মিকে বসতে বাধা দেওয়ায় প্রধান শিক্ষককে বরখাস্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের বালিবেলা হাইস্কুলে। সূত্রের খবর, মাধ্য়মিকের পরীক্ষার্থী তিয়াসা ব্য়াতিক্রমী পরিস্থিতির শিকার বলে পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। তাই ইতিমধ্য়েই মাধ্য়মিক পর্ষদকে ১১ ফ্রেব্রুয়ারি ওই ছাত্রীর হাতে অ্য়াডমিট কার্ড দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, করোনা মোকাবিলায় সতর্ক কলকাতা চিড়িয়াখানা, কড়া নজরদারি বিদেশিদের ওপরে
সূত্রের খবর, কোনও বিদ্য়ালয়ে শিক্ষার্থীর মাধ্য়মিক পরীক্ষায় বসা নিয়ে রাজ্য়ে প্রথম এমন ঘটনা ঘটল। এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে জেলা বিদ্য়ালয় পরিদর্শক ইতিমধ্য়েই তিনবার আরামবাগের ওই বালিবেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষককে পদক্ষেপ করতে বলেছে। অভিযোগ, তারপরেও প্রধান শিক্ষকের তরফে কোনও রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পাশাপাশি স্কুল পরিদর্শকের চিঠির কোনও জবাবও দেননি তিনি। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টে ফের মামলা করেন ছাত্রীর মা সীমা চ্য়াটার্জী। বিচারপবতি শেখর ববি শরাফ এমন ঘটনা জেনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন আদালতে। ছাত্রীর ভবিষ্য়ৎ নিয়ে এমন গিনিপিগ খেলার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন, রাজ্যে শীতের নতুন ইনিংস, ফের স্বাভাবিকের নীচে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
কোর্ট সূত্রে খবর, ছাত্রীর মায়ের আইনজীবী কে এম হোসেন জানান যে, প্রধান শিক্ষককে বরখাস্তের সুপারিশ করেছে আদালত। জেলা স্কুল পরিদর্শক বরখাস্তের সুপারিশ পাঠাবে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে। সুপারিশ পেয়েই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে পর্ষদ। এরপর প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলাকালীন বন্ধ থাকবে বেতন। ওই আইনজীবী আরও জানিয়েছেন, ১১ফেব্রুয়ারি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সচিবের কাছে এডমিট কার্ডের আবেদন করবে তিয়াসা। আবেদন পেয়েই সচিব এডমিট কার্ড ইস্যু করবে ছাত্রীটিকে। মাধ্য়মিক পরীক্ষায় বসা নিয়ে এমন ঘটনাকে নজিরবিহীন বলেছেন আইনজীবীরাও।