পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ১৪ দিনের জেল হেফাজত

পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে এবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। ব্যাঙ্কশাল আদালতে ইডি বিচারবিভাগীয় হেফাজতেই চেয়েছিল পার্থ ও অর্পিতাকে। আদালত সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে হেফাজত মঞ্জুর করেছে। 

Parna Sengupta | Published : Aug 5, 2022 12:26 PM IST / Updated: Aug 05 2022, 06:38 PM IST

পার্থ ও অর্পিতা ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে এবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। ব্যাঙ্কশাল আদালতে ইডি বিচারবিভাগীয় হেফাজতেই চেয়েছিল পার্থ ও অর্পিতাকে। আদালত সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে হেফাজত মঞ্জুর করেছে। 

ইডির তরফে এদিন আদালতে বলা হয়, "অর্পিতা ও পার্থর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একটি যৌথ মালিকানার কোম্পানির শেয়ারের স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে । পয়লা নভেম্বর, ২০১২ সালে তৈরি হয় এই কোম্পানি । এটা প্রমাণ করে যে একটা বিরাট অঙ্কের অর্থ তছরুপ করা হয়েছে। সেই কারণে বিচারবিভাগীয় হেফাজতের আবেদন জানানো হচ্ছে এবং সেই হেফাজত চলাকালীন জেলে গিয়ে জেরার আর্জি জানাচ্ছি আমরা ।" শুক্রবারই জেলে স্থানান্তর করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

১৮ অগাস্ট পর্যন্ত জেলে থাকতে হবে তাঁদের। ১৮ তারিখ পর্যন্ত পার্থর ঠিকানা প্রেসিডেন্সি, অর্পিতার প্রেসিডেন্সি (মহিলা) সংশোধনাগার। ইডির আই ও-সহ তিনজন গিয়ে জেরা করতে পারবেন বলে অনুমতি দিয়েছে আদালত। আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের সুপারকে অর্পিতার জেলে থাকাকালীন সব ধরনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।সংশোধনাগারে জেরার গোটাপর্বই রেকর্ড করবে ইডি। সূত্রের খবর, দুই সংশোধনাগারই প্রস্তুত হয়ে রয়েছে। তবে আদালতের নির্দেশ পার্থ ও অর্পিতা দুজনকেই সাধারণ বন্দির মতো থাকতে হবে। আলাদা কোনও সুবিধা তাঁরা পাবেন না।

প্রসঙ্গত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী এ দিন আদালতে বলেন, "ইডি এই মামলায় তদন্ত করছে এই অপরাধের পদ্ধতি নিয়ে । ইডি এখনও পার্থর বিরুদ্ধে কোনও নথি পেশ করতে পারেনি । শুধুমাত্র এই তদন্তে সাহায্য করছেন না বলেই এতদিন ইডি হেফাজতে নিল । তারা কি চায় তিনি নিজে দোষ কবুল করুন? তিনি নিজেও জানেন না, কি ধরনের ষড়যন্ত্র করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে!" সরাসরি ইডির নিজেদের হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এ বার বিচারবিভাগীয় হেফাজতের আবেদন জানায় ইডি ৷

ইডি আধিকারিকদের মতে, ২২ জুলাই অভিযানের সময় অর্পিতার দক্ষিণ কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে কমপক্ষে ২৮টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। ইডি বিশেষজ্ঞরা দোসরা আগস্ট তার মোবাইল থেকে ডেটা বের করতে সফল হয়েছেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া ২৮টি মোবাইল ফোনের মধ্যে সাতটি কাজ করছিল, তিনটি একেবারে নতুন যা ব্যবহার করা হয়নি এবং ১৮টি কাজ করছিল না। ইডি জানিয়েছে যে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে এক টিবির দুটি হার্ডডিস্কও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 

Read more Articles on
Share this article
click me!