মৃত্যুর ১১ ঘণ্টা পরেও সৎকার হল না করোনা আক্রান্ত দেহের, ভয়ে কাঁপছে বাগুইহাটিবাসী

 

  • আবার অমানবিক দৃশ্যের সাক্ষী কলকাতা 
  • মৃত্যুর পর ১১ ঘণ্টার বেশি সময়ে কেটে গিয়েছে
  • সৎকার হলো না করোনা আক্রান্ত মৃতদেহের 
  • ভয়ে কাঁটা বাগুইহাটি থানা এলাকার বাসিন্দারা

Ritam Talukder | Published : Apr 30, 2021 9:05 AM IST / Updated: Jun 01 2021, 01:15 PM IST


 ফের অমানবিক দৃশ্যের সাক্ষী কলকাতা। মৃত্যুর পর ১১ ঘণ্টা কেটে গেলেও সৎকার হলো না করোনা আক্রান্ত মৃতদেহের। বাড়িতে দেহ আগলে বসে রইল মৃতের স্ত্রী। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী ৭০ বছরের বৃদ্ধ অসিতদের। ঘটনাটি ঘটেছে বাগুইহাটি থানার রঘুনাথপুর এলাকায়। 

আরও পড়ুন, নেগেটিভ হলেও রোগী ফেরাতে পারবে না হাসপাতাল, কোভিডে দাহ-কার্য বিনামূল্যে করবে পুরসভা 

 

 

স্থানীয় সূত্রে খবর কয়েকদিন ধরেই করণা আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে চিকিৎসা চলছিল। গতকাল রাতে শারীরিক অসুস্থতা অবনতি হওয়ায় স্ত্রী অ্যাম্বুলেন্সে করে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে গেলেও মেলেনি চিকিৎসা। অবশেষে এম্বুলেন্সেই মৃত্যু হয় অসিত দের এমনটাই  জানাই স্ত্রী। বাগুইহাটি থানার রঘুনাথপুর বাড়িতে গতকাল রাতে ডেড বডি বাড়িতে রেখে যায় অ্যাম্বুলেন্স। এখনও পর্যন্ত সেই ডেড বডি বাড়িতে পড়ে রয়েছে এবং আগলে রয়েছে মৃতার স্ত্রী। স্ত্রী নিজেও করোনা আক্রান্ত বলে তাঁর দাবি। স্থানীয় প্রতিবেশীদের অভিযোগ যে দীর্ঘ সময় গতকাল থেকে একাধিক জায়গায় ফোন করা হলেও মেলেনি কোনো সুরাহা মেলেনি।  অবশেষে বাগুইআটি থানার পুলিশ সকালে এসে খোঁজখবর করে। ১১ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত মৃতদেহ রঘুনাথপুর বাড়িতেই পরে রয়েছে।

আরও পড়ুন, 'একটা জিনিস কিনে আসছি', কোভিডের ভয়ে অসুস্থ বৃদ্ধাকে দীঘার সমুদ্র পাড়ে ফেলে পালাল নাতি 


 সম্প্রতি লেকটাউন এক নম্বর পল্লীশ্রীতেও একই দৃশ্য ফুটে উঠেছে। অক্সিজেনের অভাবে  করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর প্রায় ৮ ঘন্টা পরও ওই মৃতদেহ বাড়িতেই পড়ে ছিল।  এলাকায় ছড়ায় চরম আতঙ্ক। সেদিন পৌরসভার কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তার আগে  পাশাপাশি দেখা গিয়েছিল লেকটাউন পল্লীশ্রী এলাকাতেও একই অসহয়তার দৃশ্য। প্রসঙ্গত, কোভিডের রেকর্ড মৃত্যু সঙ্গে প্রকট হচ্ছে অসহয়তা। কখনও  শহরের কোথাও কোভিড মৃতদেহ বাড়ির সামনে রেখে দিয়ে পালাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স। কোথাও বা প্রবীন নাগরিকের মৃত্যু পর জানতে পেরে এলাকাবাসীর মধ্যে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক। এদিকে যারা কোভিডে আক্রান্তে বেঁচে রয়েছেন এবং বয়েস অনেকটাই বেশি , তাঁদেরকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় চিকিৎসক থেকে পরিবার।

Share this article
click me!