বুদ্ধদেবের তন্দ্রা-আচ্ছন্নভাব এখন আর নেই। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তবে এই মুহূর্তে তাঁকে বাইপাপ সাপোর্টে আরও ১ লিটার বেশি অক্সিজেন দিতে হচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। সবসময় কড়া পর্যবেক্ষণে তাঁকে রেখেছেন চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন, কলকাতায় ভয়াবহ ব্ল্য়াক ফাংগাসের থাবা, লাফিয়ে বাড়ল সংক্রমণ, মৃত ৩
হাসপাতাল সূত্রে খবর, এখন অনেকটাই ভাল আছেন বুদ্ধদেব ভট্টচার্য। রক্তচাপ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। ওষুধপত্র আগের মতই চলছে। তবে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়েছে। আগে যেখানে বাইপাপ সাপোর্টে ৩ লিটার অক্সিজেন লাগছিল, এখন সেখানে ৪ লিটার অক্সিজেন লাগছে বুদ্ধদেবের। প্রসঙ্গত, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রথম অবস্থায় হোম আইসোলেশনেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার আচমকাই শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়। শরীরের অক্সিজেন লেভেল চলে যায় ৮০-র নীচে। মুহূর্তেই তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন বুধবার তাঁর অক্সিজেনের মাত্রা আগের থেকে উন্নতি করে ৯২তে পৌছায়। ইতিমধ্যেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চিকিৎসার জন্য একটি মেডিক্যাল বোর্ড ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। মেডিক্যাল বোর্ডে রয়েছেন ডক্টর সৌপ্তিক পণ্ডা, সপ্তর্ষি বসু ও সরোজ মণ্ডল।
আরও পড়ুন, কোভিড সংক্রমণ কমলেও পিছু ছাড়ছে না মৃত্যু, ভ্যাকসিন দিতে ফোন করুন পুরসভার এই নম্বরে
অপরদিকে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরেই প্যানিক অ্য়াটাক হয় তাঁর স্ত্রী মীরার। কোভিড মুক্ত হয়েও বাড়ি ফেরার পর ফের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে থাঁকে। এই মুহূর্তে মীরা ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৯ শতাংশ।