“শুধু পার্থকে সরিয়ে দিলেই শিক্ষা দফতরের দুর্নীতি বন্ধ হবে না। মুখ্যমন্ত্রী সর্বসমক্ষে বলুন যে, যা হয়েছে অন্যায় হয়েছে”, তৃণমূলের অন্দরে আর্থিক তছরুপের ঘটনায় সরাসরি সাংবাদিক বৈঠক ডাকলেন বাম নেতা মহম্মদ সেলিম।
“গাছ কেনার নাম করে টাকা খরচ করেছে, অথচ গাছের কোনও চিহ্ন নেই। ছাগলে খেয়ে নিয়েছে।” ঘাসফুলের সংকটকালে বাম নেতা মহম্মদ সেলিমের মুখে কৌতুকের শব্দ। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির দায়ে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রিসভা থেকে অপসারন করা হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আজ শাসকদলের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হয়েছে। তাঁর অধীনে থাকা দফতরগুলি এখন থেকে দেখাশোনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। আর এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের।
সেলিম বললেন, "শুধু পার্থকে সরিয়ে দিলেই শিক্ষা দফতরের দুর্নীতি বন্ধ হবে না। মুখ্যমন্ত্রী সর্বসমক্ষে বলুন যে, যা হয়েছে অন্যায় হয়েছে, সেটা তো তিনি বলছেন না! উলটে দোষটা অন্যের ঘাড়ে ফেলতে চাইছেন।” শিক্ষা দফতরে দুর্নীতি প্রসঙ্গে বাম নেতার বক্তব্য, "তৃণমূলে দুর্নীতির যে সাম্রাজ্য তার একটা বড় থাম হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ২০১১ সাল থেকে এই দুর্নীতি শুরু হয়েছে। তাহলে পার্থ যদি দোষী হয় ব্রাত্য বসু হবে না কেন? যারা আন্দোলন করছে তারা তো বলছে যে এই দুর্নীতিটা তৃণমূলের।"
পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রিসভা থেকে বিতাড়িত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বক্তব্য রাখেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম, "মুখ্যমন্ত্রীর বলা উচিত যে যে দফতরে যা যা দুর্নীতি হয়েছে সেগুলি আর বরদাস্ত করা হবে না। বিষয়টা অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পার্থকে তো আগেই সরিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু, তা হল না। এই কয়েকদিনে আসলে বাগানবাড়ি থেকে তথ্য লোপাট করা হয়েছে।"
অন্যদিকে, রাজ্যের শাসকদলের অন্দরে ‘চোর’ খুঁজে পাওয়া গেলেও কেন্দ্রীয় সরকারকেও এদিন তুলোধোনা করতে ছাড়েননি বাম নেতা সেলিম। কেন্দ্রের সরকারের আর্থিক তছরুপের কথাও বড় করে উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “কেন্দ্রীয় সরকারের নেতা মন্ত্রীরা সাধু নয়। তাদের ঘরেও পাওয়া যাবে। শুভেন্দু অধিকারীর ঘরে অভিযান চালালে পাওয়া যাবে। গাছটাও একটিই। বড় ছোটো সব চোর। ললিত মোদী, নীরব মোদীরা কোথায় গেল। বাংলায় আগে এরকম হয়নি বলেই হইচই হচ্ছে। বিজেপি নেতাদের ঘরে তল্লাশি চালালে দেওয়াল, বাথরুম সব জায়গায় টাকা পাওয়া যাবে।”
আরও পড়ুন-
তৃণমূলের সবাই চোর, বামপন্থী সংগঠনের মিছিলে প্রকাশ্যে জোরালো স্লোগান
অভিনব উদ্যোগ SFI-এর, বিনামূল্যে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরিষেবা
জ্যোতি বসু জনপ্রিয় কমিউনিস্ট নেতা, দল না ছেড়েও সমালোচনা করেছিলেন দলীয় সিদ্ধান্তের