প্রবল শক্তি নিয়ে আসছে ঘূ্র্ণিঝড় যশ। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্য়োপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, ২৪ মে সোমবার নিম্নচাপ এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এখন পূর্ব মধ্য বঙ্গপসাগরে রয়েছে। ৬২০ কিমি দূরে বালাশোর থেকে এবং ৬১০ কিমি দূরে দীঘা থেকে। এই ঘূর্ণিঝড় উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে এগোবে। আগামী ১২ ঘন্টায় এটি সিভিয়ার সাইক্লোনে পরিণত হবে। পরে আরও শক্তি বাড়াবে ২৬ তারিখ সকালে।
আরও পড়ুন, শিকলে বাঁধা হল ট্রেনের চাকা, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে তৎপর রেল
উড়িষ্যা উপকূল ঢুকবে ২৬ তারিখ সন্ধ্যাতে। পারদীপ ও সাগর দিয়ে এর মাঝখান দিয়ে ও বালাশরের পাশ থেকে প্রবেশ করবে। এই ঝড়ের ফলে ২৪ তারিখ কলকাতা সহ উপকুলের সব জেলায় বৃষ্টি হবে। কিছু জায়গায় ভারি বৃষ্টি হবে। ২৫ তারিখ অতি ভারি বৃষ্টি হবে। দুই ২৪ পরগনার, দুই মেদিনীপুর অতিভারি বৃষ্টি হবে। ২৬ তারিখ দক্ষিণ বঙ্গের সব যায়গায় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি ঝাড়গ্রাম, দুই ২৪ পরগনাও দুই মেদিনীপুরে অতি ভারি বৃষ্টি হবে, বাকি জেলাতে ভারি বৃষ্টি হবে। ২৭ তারিখ পশ্চিমের জেলা ও উত্তর বঙ্গের জেলা গুলোতে ভারি বৃষ্টি হবে। এখন যেখানে ঝড় আছে সেখানে হওয়ার গতি আছে ৪০ থেকে ৫০ কিমি প্রতি ঘন্টা। তারপর আরও শক্তি বাড়াবে তখন হওয়ার গতি হবে ৫০ থেকে ৬০ কিমি প্রতি ঘন্টা। ২৬ তারিখ যখন ঝড় স্থল ভাগে প্রবেশ করার আগে হওয়ার গতি থাকবে ১০০ কিমি প্রতি ঘন্টা। যখন এটি স্থলভাগে প্রবেশ করবে তখন এর গতি থাকবে ঘন্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিমি। জলচ্ছাস হবে বেশি হবে উড়িষ্যাতে। রাজ্যে জলচ্ছাস হবে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ১ থেকে ২ মিটার।
আরও পড়ুন, 'যশ'-র মোকাবিলায় প্রস্তুত ১৫৪ ফায়ার স্টেশন, তৈরি স্পেশাল টিম, বার্তা দমকল মন্ত্রীর
ইতিমধ্য়েই বিপর্যয়ের প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। জাতীয় মোকাবিলা বাহিনীর একধিক দল মোতায়েন করা হয়েছে। উপকূল অঞ্চলে প্রস্তুত উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং নৌসেনা। নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উপকূলীয় এলাকার নীচু অঞ্চলের বসবাসকারীদের। রয়েছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী. সিভিল ডিফেন্সের দলও। উপকূলবর্তী জেলায় করা হয়েছে আশ্রয় শিবির। শুকনো খাবার,পানীয় জল, ত্রিপলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলকাতায় পুলিশ, সেন পুরসভা সহ বিভিন্ন দফতরের যৌথ কমান্ডও প্রস্তুত। পুরো ব্যবস্থায় নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। প্রস্তুতি নিয়ে ইতিমধ্য়েই রবিবার বৈঠকও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অপরদিকে রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতিতে যাতে বিদ্যুৎ এবং টেলিকম পরিষেবায় অসুবিধা না হয়, সেব্যাপারেও নজর দেওয়া হয়েছে।