রেড রোডের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু কলকাতা পুলিশ কর্মীর। মিনি বাসের নীচে চাপা পড়া বাইক আরোহীকে শেষ অবধি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো গেল না। উল্লেখ্য, এখনও অবধি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ১৩ জন। এদের মধ্য়ে আশঙ্কাজনক অবস্থা ৮ জনের। প্রত্যেকে এসএসকেমের ট্রমাকেয়ার ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে এসেছেন ডিসি সাউথ কলকাতা পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র।
আরও পড়ুন, প্রবল বর্ষণে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে চাষের জমি, সরকারের 'কৃষি বীমা'-র আশায় অসহায় কৃষকরা
এদিন বাইক আরোহীকে ধাক্কা মেরে ফোর্ট উইলিয়ামের পাঁচিলে ধাক্কা মারে একটি মিনিবাস।ভয়াবহ দুর্ঘটনায় তছনছ হয়ে গিয়েছে মিনিবাসের ভিতরের অংশ এবং সিট। বাসের তলায় বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকেন এক বাইক চালক। পরে ক্রেন দিয়ে মিনিবাসটিকে সরিয়ে নীচ থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ওই ব্যাক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও ওই বাইক আরোহীকে শেষ অবধি বাঁচানো যায়নি। মৃত ওই বাইক আরোহীর নাম বিবোকানন্দ দাস। তিনি কলকাতা পুলিশের রিজার্ভ ফোর্সের কর্মী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনার পর ওই বাইক আরোহীকে উদ্ধারের সময়ই মূলত তাঁর বাইকের গায়ে 'কেপি' (KP) লেখা দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে মৃত ওই ব্যাক্তির পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন, 'সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রতারকরা', দিলীপের নিশানায় কি প্রতিক্রিয়া সৌগতর
এদিকে দুর্ঘটনার আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারছেন না যাত্রীরা। জানা গিয়েছে ওই বাসে মোট ৪০ জন যাত্রী ছিলেন। এখনও অবধি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ১৩ জন। এদের মধ্য়ে আশঙ্কাজনক অবস্থা ৮ জনের। প্রত্যেকে এসএসকেমের ট্রমাকেয়ার ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌছায় কলকাতা পুলিশ। আসে অ্যাম্বুলেন্সও। সঙ্গে নেমে পড়েন সেনাবাহিনীর জওয়ানেরাও। সবাই মিলে আহতদের বাস থেকে বার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দুর্ঘটনার তীব্রতায় রাস্তার ধারের একটি রেলিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়েছে তিন টি ক্রেন। তাতে করে বাস সরানোর কাজ চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, 'মেটিয়াবুরুজ-হাওড়া রুটের মিনি বাসটি বেপরোয়া গতিতে যাওয়ার সময় ফোর্ট উইলিয়াম গেটের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে বাইক আরোহীকে ধাক্কা মারে। পরে রেলিং ভেঙে ধাক্কা মারে ফোর্ট উইলিয়ামের পাঁচিলে।'