অভিভাবকদের বিক্ষোভেও চোখ খোলেনি, প্রাইভেট স্কুলের ফি নিয়ে রাজ্য়কে নিশানা দিলীপের

  • প্রাইভেট স্কুলগুলির উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই
  • বর্তমান সময়ে প্রাইভেট স্কুলগুলিতে ফি বৃদ্ধি হয়েই যাচ্ছে
  • বেসরকারি স্কুলগুলিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন অভিভাবকরা
  •  অথচ রাজ্য় সরকারের বেসরকারি স্কুলের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই 

Asianet News Bangla | Published : Jun 24, 2020 1:36 PM IST

প্রাইভেট স্কুলগুলির উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই বলে রাজ্যকে তোপ দিলীপ ঘোষের। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে প্রাইভেট স্কুলগুলিতে ফি বৃদ্ধি হয়েই যাচ্ছে। যার ফলে প্রতিদিন কলকাতায় বেসরকারি স্কুলগুলিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন অভিভাবকরা। সারা ভারতের এমন চিত্র আর কোথাও দেখা যাচ্ছে না বলে দাবি করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি । 

বেসরকারি স্কুলগুলি যাতে ইচ্ছামতো ফি বৃদ্ধি না করতে পারে তা সরকারের দেখা উচিত। প্রয়োজনে ফি বৃদ্ধি আটকাতে সরকারের  হস্তক্ষেপ করা উচিত। না হলে সমস্যা আরও বাড়বে বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত, কলকাতায় প্রতিদিন বেসরকারি স্কুলগুলির সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন অভিভাবকরা। এদিনও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। কলকাতার বউ বাজারে একটি বেসরকারি স্কুলের গেটে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা।  

এদিন দিলীপবাবু বলেন, পশ্চিমবঙ্গে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোটাই প্রাইভেটের মাধ্যমে চলছে। করোনার চিকিৎসা বেসরকারি হাসপাতালে ঠিকমতো হচ্ছে । কিন্তুু রাজ্য সরকারের হাসপাতালে ঠিকমতো হচ্ছে না বলে বুধবার দলের রাজ্য সদর দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, অনেক আগেই কেন্দ্রীয় সরকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বাড়াতে রাজ্যকে সুপারিশ করেছে। রাজ্য হাতগুটিয়ে সম্পূর্ণ বসেছিল বলে জানান তিনি। তাই করোনার মৃত্যুও বেড়েই চলেছে।

বুধবার ফের লকডাউনে স্কুল ফি নেওয়াকে কেন্দ্র করে স্কুলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেন অভিভাবকরা। এদিন সকাল থেকেই বউবাজারের সেন্ট মাইকেল স্কুলের সামনে অভিভাবকদের বিক্ষোভ চোখে পড়ে । অভিভাবকদের অভিযোগ,গত তিন মাস ধরে যে লকডাউন চলছে তার মধ্যেও স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে পুরো ফি দাবি করছে। যা অভিভাবকরা মানতে চাইছেন না । 

অভিভাবকদের দাবি, বর্তমানে এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সমাজ। করোনা লকডাউনের জেরে অনেকেরই কাজ নেই। বেতনের অধিকাংশ কমে গেছে । এরকম একটা অবস্থায় অভিভাবকদের পক্ষে সম্ভব নয় স্কুলের পুরো ফি দেওয়া । অভিভাবকরা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছে,তাদের সন্তানদের অর্থাৎ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের গত তিন মাসের ফি মুকুব করা হোক। 

Share this article
click me!