কয়লাকাণ্ডে তদন্তের জন্য গতকাল দিল্লিতে ইডির মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিষেক। সেখানে প্রায় তাঁখে ৯ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। এরপর বাইরে এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপিকে একহাত নেন তিনি।
আজ নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণে এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানে তৃণমূল সরকারকে একহাত নেন তিনি। পাশাপাশি তৃণমূলের সর্বভারতী সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। বলেন, "ডায়লগ দিতে হয়, আগে ওঁদের নেতারা সব ইডি, সিবিআইয়ের থেকে বাঁচুক।"
কয়লাকাণ্ডে তদন্তের জন্য গতকাল দিল্লিতে ইডির মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিষেক। সেখানে প্রায় তাঁখে ৯ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। এরপর বাইরে এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপিকে একহাত নেন তিনি। বলেছিলেন, "বিজেপির ২৫ বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিতে লাইনে রয়েছেন।" এর প্রেক্ষিতেই আজ নিউটাউনে দিলীপ বলেন, "আমি জানি না ২৫ না ৫০। আমাদের পার্টিতে অনেক নেতা এসে বলেছিল একশো আছে দেড়শো আছে। এসব ডায়লগ দিতে হয়। আগে তো ওঁদের বিধায়ক, সাংসদরা, ইডি সিবিআইয়ের থেকে বাঁচুক। তারপর আমাদের বিধায়ক সম্পর্কে ভাববেন।"
আরও পড়ুন- প্রবল জলোচ্ছ্বাস দিঘায়, জলে নামতে না পারলেও পাড়ে বসেই পা ভেজাচ্ছেন পর্যটকরা
প্রায় ৯ ঘণ্টা পর ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন অভিষেক। তাঁর বলেছিলেন, “বাকি সব রাজনৈতিক দলকে ভুলে যান। তৃণমূল কংগ্রেসই আসন্ন নির্বাচনে বিজেপিকে হারাবে। জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেব, কিন্তু এই ভীতুদের সামনে মাথা নত করব না, যারা রাজনৈতিকভাবে আমাদের মোকাবিলা করতে অক্ষম। আপনাদের (বিজেপির) যা করার আপনারা করে নিন। রাজনৈতিক লড়াই, পারলে রাজনৈতিকভাবে লড়ুন। জীবন দেব, কিন্তু মাথা নত করব না।”
আরও পড়ুন- ভুয়ো টিকাকাণ্ডে তৎপরতা, দেবাঞ্জন দেবকে জেলে গিয়ে জেরার অনুমতি পেল ইডি
এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "জীবন কোথায় দিচ্ছেন। জীবন নিয়ে তো পালিয়ে গেল নেতারা। ৯ ঘণ্টা যদি ইডি জেরা করে তখন অনেকেই আবল তাবোল বকে। সবে তো শুরু হয়েছে। যে নেতারা ভুবনেশ্বর গিয়েছিলেন, তাঁদের চেহারাই পাল্টে গিয়েছিল। এতদিন ভেবেছিল পুলিশ, সিআইডি দিয়ে চালিয়ে দেবেন চমকে রেখে যা ইচ্ছা তাই করবেন।"
এরপর কয়লা পাচারকাণ্ডে যুক্ত তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্র সম্পর্কে দিলীপ বলেন, "ওঁদের রাজত্ব কালে কয়লা, বালি, পাথর লুট হয়েছে। গরু পাচার হয়েছে। একটা পার্টি অফিসিয়ালি এই কারবারগুলো করছে। তাঁদের সব নেতা জড়িত। এতদিনে এই অভিযোগ কোর্ট শুনেছে। তাঁরা কোনও না কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তাই তাঁদের নেতারা বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন। গায়েব হয়ে যাচ্ছেন। অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে নিচ্ছেন, কতটা সৎ ছিল ওঁরা।"