ত্রিপুরায় ‘আক্রমণের’ নাট্য রূপান্তর, বিজেপির দপ্তরের সামনে অভিনব প্রতিবাদ তৃণমূলের
ত্রিপুরা(Tripura) নিয়ে ক্রমেই বিজেপির(BJP) উপর চাপ বাড়িয়ে চলেছে ঘাসফুল(TMC) শিবির। দিল্লিতে একটানা আন্দোলনের পর বাংলার বুকেও জারি রয়েছে প্রতিবাদ কর্মসূচিও। সোমবারও ত্রিপুরায় সায়নী ঘোষের(Sayoni Ghosh) গ্রেফতারি ও তৃণমূল কর্মীদের মারধরের প্রতিবাদে বিজেপির রাজ্য দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ সামিল হয় ঘাসফুল শিবির। মঙ্গলবারও সেই রেশ অব্যাহত। তবে এদিন ত্রিপুরায় ‘আক্রমণের’ নাট্য রূপান্তর করে দেখান তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সাড়া পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়(social media)। তবে প্রতিবাদী তৃণমূল সমর্থকদের পরিচয় নিয়ে তৈরি হয়ছে ধোঁয়াশা।
এদিন বিজেপির রাজ্য দপ্তরের সামনে বিক্ষোভে বসতে দেখা হেল তৃণমূলের যুব ব্রিগেডের বহু সদস্যকে। তাদের দাবি ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র ফেরাতেই তাদের এই আন্দোলন। এমনকী তাদের এও দাবি ত্রিপুরায় তৃণমূলের উত্থানে ভয় পেয়েছে বিজেপি। আর সেকারণেই তাদের একাধিক নেতাকে জেলে পাঠানোর চক্রান্ত করছে। তবে এসব করে কিছু লাভ হবে না বলেও হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা। তৃণমূলের দাবি আগামীতে মানুষই দেখিয়ে দেবে কারা আসল শত্রু। ত্রিপুরায় যে ঘটনা ঘটেছে এদিন তারাই নাট্য রূপান্তর করে দেখালেন যুব ব্রিগেডের সদস্যরা। কিভাবে সেখানে অত্যাচার করা হয়েছে, কীভাবে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে সবই রাস্তায় অভিনয় করে দেখান তারা।
আরও পড়ুন - বালি চোর, কয়লা চোরেরাই রাজ্য অশান্তি বাঁধাচ্ছে, অভিষেককে চাঁচাছোলা আক্রমণ বিপ্লবের
এদিকে এদিনের এই চমকপ্রদ বিক্ষোভ কর্মসূচির মধ্যেও প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের দলীয় কোন্দল। এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে খানিক মত বিরোধ দেখা যায় ঘাসফুল শিবিরের অন্দরেই। প্রতিবাদীদের পরিচয় নিয়ে শুরু থেকেই ছিল ধোয়াশা। যদিও তারা হাওড়া জেলা সোশ্যাল মিডিয়া সেলের তরফ বিক্ষোভ প্রদর্শনে এসেছেন বলে দাবি করেন। যদিও নেতৃত্বের একটা বড় অংশের দাবি যারা প্রতিবাদ করছেন তাদের কেউ চেনে না। ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর রেহেনা খাতুন কার্যত আক্রমণের শুরেই বলেন, এখানে যারা বিক্ষোভ করতে এসেছে তারা কেউই তৃণমূলের কর্মী সমর্থক নয়। যে কেউ পতাকা হাতে এসে আন্দোলন করলে সেটা পার্টির আন্দোলন হয়ে যায় না! হাওড়া বা অন্য জায়গা থেকে যারা বিক্ষোভ করতে এসেছে তারা কেউই পার্টির লোক নয় বলেও স্পষ্ট দাবি তাঁর।
আরও পড়ুন - CBI তদন্তের রায়কে চ্যালেঞ্জ, ডিভিশন বেঞ্চে দরবার রাজ্য সরকারের
তবে প্রতিবাদীদের দাবি তাদের নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ই(Mamata Banerjee)। তাদের নেতা অভিষেক। আর তাই তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করেই বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল হয়েছে তারা। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকের মতে, দলের মধ্যেই এই রেষারেষি গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে হয়ে থাকতে পারে। তবে আন্দোলনকারীদের পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা যে ঘাসফুল শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বদের অস্বস্তিতে ফেলবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।