সংক্ষিপ্ত

এদিকে এসএসএসি গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের একাধিক প্রান্তে আন্দোলনে সামিল হয়েছিল চাকরি প্রার্থীরা। নেমেছিল রাজপথেও। যা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপও ক্রমেই বাড়ছিল।

এসএসএসি(SSC) মামলায় ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) বড়সড় চাপের মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। গ্রুপ  ডি নিয়োগে দুর্নীতির (SSC Group D Recruitment) অভিযোগ মামলায় সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের শীর্ষ আদালতের তরফে। এবার এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই মঙ্গলবার সিঙ্গল বেঞ্চের পরে এবার ডিভিশন বেঞ্চে আর্জি জানাতে চলেছে রাজ্য। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের তরফে আবেদন জানানোর কথা ছিল। অন্যদিকে গতকালের রায়ে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধায়৷

এদিকে এসএসএসি গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের একাধিক প্রান্তে আন্দোলনে সামিল হয়েছিল চাকরি প্রার্থীরা। নেমেছিল রাজপথেও। যা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপও ক্রমেই বাড়ছিল। এমতাবস্থায় কলকাতা হাইকোর্টের সোমবারের রায় যে রাজ্য সরকারের স্নায়ুর চাপ অনেকাটাই বাড়িয়ে দিয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাবনা চিন্তা যে রাজ্যের শিক্ষা দফতর শুরু করে দিয়েছে তা গতকালই স্পষ্ট হয়ে যায়।

আরও পড়ুন-SSC-র পর TET কাঁটা, দ্রুত রেজাল্ট বের করার দাবিতে এপিসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ পরীক্ষার্থীদের

মঙ্গলবার রাত থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দেয় এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ৷ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রথমে পঁচিশটি নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ মামলাকারীদের তরফে হলফনামার সঙ্গে হাইকোর্টে জমা করা হয়েছিল।পরবর্তীতে আরও ৫২৫টি নিয়োগকে ভুয়ো বলে দাবি করা হয়। তা নিয়েও একাধিক তথ্যপ্রমাণ হাইকোর্টের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সফট কপি জমা দেওয়া হয়। দেওয়া হয় পেন ড্রাইভও। যদিও এসএসএসি-র দাবি এখানে কোনও নিয়োগই কোনো সুপারিশের ভিত্তিতে হয়নি। যা হয়েছে সবই স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়। যদিও তা মানতে নারাজ চাকরি প্রার্থীরা।

আরও পড়ুন-দুর্নীতির অভিযোগে পদ থেকে অপসারিত তৃণমূল নেতা, অনাস্থা আনলেন পঞ্চায়েত সদস্যরাই

যদিও সোমবার খানিক মামলাকারীদের পক্ষেই দাঁড়াতে দেখা যায় কলকাতা হাইকোর্টেকে। এমনকী গ্রুপ ডি নিয়োগে সরকারি পদক্ষেপ নিয়েও একগুচ্ছ প্রশ্ন তোলা হয়। করা হয় তিরষ্কারও। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধায়ের সাফ প্রশ্ন কমিশনের সুপারিশ যদি না-ই থাকে, তবে নিোগে কার অদৃশ্য হাত রয়েছে? কার সুপারিশে ২৫ জন চাকরি পেলেন ? এদিকে দুবছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে এই নিয়োগ হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা উঠলে তার গতিপ্রকৃতি কোনদিকে যায় এখন সেটাই দেখার।