ঘটনার কথা জানতে পেরে দ্রুত সেখানে এসে পৌঁছায় সাঁকরাইল থানার পুলিশ। অভিযোগ নেশার ঘোরে ওই মহিলা পুলিশকেও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। তবে ঘটনাস্থলে মহিলা পুলিশ কর্মী না থাকায় মদ্যপ মহিলাকে বাগে আনতে বেশ সমস্যার মধ্যে পড়েন পুলিশকর্মীরা।
রাত বাড়তেই শহর কলকাতা(Kolkata) ও পার্শ্ববর্তী এলাকা যেন হয়ে উঠছে অপরাধীদের আঁতুরঘর। কোথাও চোরাচালান তো কোথাও মাদকের রমরামা, রাত বাড়তেই ভোল বদলে যাচ্ছে তিলোত্তমার। এমবস্থায় এবার রাতের শহরে মদ্যপ মহিলার(Alcoholic woman) বেনজির তাণ্ডবের সাক্ষী থাকল হাওড়াবাসী। সূত্রের খবর বুধবার রাত্রে রেস্তোরাঁ থেকে খাওয়া-দাওয়া করে বাড়ি ফিরছিল তিন যুবক। ফেরার পথে তারা দেখতে পান হাওড়ার আন্দুলে একটি এটিএম কাউন্টারের(ATM Counter) মধ্যে এক মহিলা বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে রয়েছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে হাত। মহিলাকে দেখার পরেই তড়িঘড়ি ওই তিন যুবক গাড়ি থেকে নেমে ওই সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে। মহিলার সঙ্গে কথা বলেই তারা বুঝতে পারেন মদ্যপ অবস্থায় রয়েছেন ওই মহিলা। নেশায় বুঁদ হয়ে তিনিই ভাঙচুর চালিয়েছেন এটিএম-এ(ATM)। ভাঙচুরের ফলে সেই কাঁচ ছিটকে তার নিজের শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। এরপরই তারা সাঁকরাইল থানায় খবর দেন।
ঘটনার কথা জানতে পেরে দ্রুত সেখানে এসে পৌঁছায় সাঁকরাইল থানার পুলিশ(Police of Sankrail police station)। অভিযোগ নেশার ঘোরে ওই মহিলা পুলিশকেও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। তবে ঘটনাস্থলে মহিলা পুলিশ কর্মী না থাকায় মদ্যপ মহিলাকে বাগে আনতে বেশ সমস্যার মধ্যে পড়েন পুলিশকর্মীরা। ইতিমধ্যে কিছুদূরে পাওয়া যায় ওই মহিলার জামাকাপড়। সেই জামাকাপড় নিয়ে এসে ওই যুবকেরা তাকে বুঝিয়ে পড়ানোর চেষ্টা করেন। কিছু সময় পরে চলে আসেন মহিলা পুলিশ কর্মীরা। তবে যুবকদের অভিযোগ, মহিলাকে সাহায্য করতে গিয়ে পুলিশি হেনস্থার শিকার হয়েছেন তারা। এদিকে ঘটনাস্থল থেকে ওই তিন যুবক ও মহিলাকে সঙ্গে করে নিয়ে হাওড়ার সাঁকরাইল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় থানায়।
আরও পড়ুন-তৃতীয় ঢেউয়ের দোরগোড়ায় বাংলা, বর্ষবরণের মুখে নাইট কার্ফু নিয়ে কী ভাবছে রাজ্য
যুবকদের অভিযোগ, প্রথমে তাদের প্রথামিক চিকিৎসার পর পুলিশ ছেড়ে দেওয়ার কথা বললেও কোনও কারণ ছাড়াই তাদের আটকে রাখা হয় সাঁকরাইল থানায়। এদের মধ্যে এক যুবক শৌণক দাশগুপ্তের অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্বা একথা পুলিশকে জানানোর পরেও তাকে বাড়ি যেতে দেওয়া হয়নি। এই প্রসঙ্গে সাঁকরাইল থানার তরফে দাবি করা হয় ওই তিন যুবক মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পাশাপাশি তারা নিজেদেরকে পুলিশ কর্মী বলেই দাবি করেন। তাদের গাড়িতে পুলিশের ভুয়ো স্টিকারও উদ্ধার করে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। এদিকে ধৃত মদ্যপ মহিলাকে এটিএম ভাঙচুর ও পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি ধৃত তিন যুবককে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো ও সরকারি স্টিকার ব্যবহারের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের আজকে হাওড়া আদালতে তোলা হয় বলে সাঁকরাইল থানা সূত্রে খবর।