বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি শুরু হবে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। মুক্তি মিলতে পারে গায়ে জ্বালা ধরা গরম, সঙ্গে অসহ্য ঘামের হাত থেকে। চরম আর্দ্রতার জেরে নাজেহাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তবে বৃষ্টির স্বস্তির খবর শুনিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস জানিয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। পরপর চারদিন ধরে বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গে। ফলে উত্তাপের পারদ নামার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।
আগামী কয়েক দিন বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় থাকবে একটি নিম্নচাপ। যার জেরে ঝেঁপে বৃষ্টি নামবে কলকাতার বুকে। ভিজবে দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিও। বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি চলবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। সোমবারও দুপুরে একাধিক জায়গায় প্রবল বৃষ্টি হয়। সঙ্গে চলে বজ্রবিদ্যুত। বাজ পড়ে হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২৭ জনের। ৯ জন মুর্শিদাবাদে, ৯ জন হুগলিতে আর ২ জন পশ্চিম মেদিনীপুরে মারা গিয়েছে।
আরও পড়ুন - অবতরণের সময় এমার্জেন্সি ব্রেক, কলকাতা বিমানবন্দরে বড় দুর্ঘটনা এড়াল বিমান
বৃহস্পতিবার থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসে সিঁদুরে মেঘ দেখছে প্রসাসন। সোমবার রাতেই আসন্ন দুর্যোগ এড়াতে নবান্ন থেকে জেলাশাসকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতার পুর কমিশনারের কাছেও পৌঁছেছে বিশেষ বার্তা। ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকার নদীবাঁধের অবস্থা শোচনীয়। এই পরিস্থিতিতে টানা চারদিন বৃষ্টিতে অবস্থা আরও বেহাল হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
এদিকে, ইন্ডিয়ান মেটিরিওলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট বা IMD জানিয়েছে ১৫ জুনের মধ্যে বর্ষা ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ও বিহারের কিছু অংশে প্রবেশ করবে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস আনুযায়ী আগামী পাঁচ দিন উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে। অরুণাচল প্রদেশ, অসম ও মেঘালয়তে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী নির্ধারিত দিনের থেকে কিছুটা হলেও পিছিয়ে যাবে বর্ষা আসার সময়সূচি। জুন মাসে গোটা দেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ স্বাভাবিক থাকবে বলেও জানানো হয়েছে হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে। আগামী পাঁচ দিন গোটা দেশে কোথাও তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস নেই বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।