আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা, তারপরেই উমা সপরিবারে হাজির হবেন মর্ত্যে। শরতের নীল আকাশ আর কাশ ফুল জানান দিচ্ছে মা দুর্গার আগমন বার্তা। মা আসার সেই আনন্দে মেতে উঠেছে শহর কলকাতা। সেই সঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর প্রস্তুতিও। আর এর সঙ্গেই কাঁধে কাধ মিলিয়ে চলছে মুকুন্দপুর সর্বজনীন দুর্গোৎসবের থিমের প্রস্তুতি। সেরার লড়াইয়ে নামার জন্য প্রস্তুত তারাও।
আরও পড়ুন- শিশুশ্রমিকদের দুঃখ, কষ্টের গল্প ফুটে উঠবে ইছলাবাদ কিরন সংঘের পুজোতে
৪৪ তম বর্ষে পদার্পণ করতে চলেছে মুকুন্দপুর সর্বজনীন দুর্গোৎসব। এবছরেও এক অভিনব থিমের মাধ্যমে সকলকে চমক দিতে চলেছে তারা। তাদের এ বছরের থিম হল 'প্রণমী তোমায়'। সারা দেশজুড়ে যে অসহিষ্ণুতা ও সাম্প্রদায়িকতার পরিস্হিতি সৃষ্টি হয়েছে, সেখান থেকে মুক্তির উপায় একমাত্র ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর-এর দেখানো মত ও পথ। যার থেকে আমরা পেয়েছি শিক্ষা, মানবতা এবং সহিষ্ণুতা। দারিদ্রতাকে উপেক্ষা করেও ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর শিক্ষার অদম্য প্রয়াস করেছিলেন, এছাড়া তাঁর মাতৃভক্তি, জাতীয়তাবোধ, দেশপ্রেম, সমাজ সংস্কার আজকের প্রজন্ম ভুলতে বসেছে। তাই তিনি যে পথ দেখিয়ে গিয়েছেন সেই পথ ধরে, শিক্ষার দ্বারা আমরা সমাজের দারিদ্রতা, কুসংস্কার সবকিছু দূর করে একটা সত্যিকারের উন্নত সমাজ গড়তে পারি। সকলে মিলে আমরা বাংলা ভাষাকে যাতে বাঁচিয়ে তুলতে পারি, তবেই বাংলা ভাষা বাঁচবে। সেই ভাষার সঙ্গে বাঁচবে বাঙালী ও বাংলা। ইশ্বরচন্দ্র-এর হাত ধরে আমাদের বর্ণের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে, এছাড়া ইশপের গল্পের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি প্রথম নীতি শিক্ষার পাঠ, ব্যাকরণ দিয়ে হাতে খড়ি।
তাই তাদের এবছরের পুজোর মধ্য দিয়ে এই ক্ষুদ্র প্রয়াস, যাতে ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর-এর ভাবনা ও আর্দশকে তুলে ধরার। পুজোটি দেখার জন্য আপনাকে যেতে হবে- মুকুন্দ ভবন, মুকুন্দপুর, কলকাতা- ৭০০৯৯।