৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন, গণনা ৩ অক্টোবর

৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচন ও মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনের কথা ঘোষণা করল কমিশন। 

Asianet News Bangla | Published : Sep 4, 2021 9:10 AM IST / Updated: Sep 04 2021, 04:08 PM IST

অবশেষে বাংলার উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। পুজোর আগেই ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচন হবে। ৩০ সেপ্টেম্বর সেখানে উপনির্বাচন। এছাড়া ওই দিনই মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরেও ভোট হবে বলে নির্বাচন কমিশনের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে। ৩ কেন্দ্রেই ভোট গণনা ৩ অক্টোবর। যদিও বাকি চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে কবে উপনির্বাচন তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি।

বিধানসভা নির্বাচনের আগেই প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় ভোট হয়নি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে। তাই এই দুটি কেন্দ্রে নির্বাচন হবে। অন্যদিকে তৃণমূলের টিকিটে ভবানীপুর আসন থেকে বিধানসভা ভোটে লড়াই করেছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ওই আসনে জেতেন তিনি। যদিও পরে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। ফলে ওই আসনে উপনির্বাচনের প্রয়োজন হয়। 

এই আসন থেকে আগে দু'বার জিতেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে বামফ্রন্ট সরকারকে সরিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। সেই সময় ভবানীপুর আসন থেকে উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন মমতা। তারপর ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনেও এই আসন থেকেই জয়ী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বদলে গিয়েছিল পরিস্থিতি। 

আরও পড়ুন- অভিষেকের বাড়িতে আসতে পারে ED, কয়লাকাণ্ডে আজ শহরের একাধিক অফিসে হানা

উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম আসন থেকে লড়াই করেছিলেন মমতা। সেখানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। ওই আসনে টানটান লড়াইয়ের পর মমতাকে পিছনে ফেলে জয়ী হন শুভেন্দু। সামান্য কিছু ভোটের ব্যবধানে মমতাকে হারিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। যদিও বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়ে ফের রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মমতা। তবে ৫ নভেম্বরের মধ্যে কোনও এক বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিততে হবে তাঁকে। তাই রাজ্যের উপনির্বাচন দ্রুত করানোর দাবি জানাচ্ছিল তৃণমূল।

আরও পড়ুন- হাফপ্যান্ট পরে টিকাকেন্দ্রে যাওয়ার 'শাস্তি', টিকা পেলেন না যুবক

এই দাবি জানিয়ে একাধিকবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। যদিও করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ভোট করানো সঠিক হবে না বলে জানিয়েছিল বিজেপি। নিজেদের মত জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠিও দিয়েছিল তারা। বেশ কয়েক মাস ধরেই এনিয়ে টানাপোড়েন চলছিল। অবশেষে কাটল সেই জট। ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচন ও মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনের কথা ঘোষণা করল কমিশন। 

আরও পড়ুন- 'সরকারের অক্সিজেন পেয়েই বিশ্বভারতীতে আখড়া বামেদের', বিস্ফোরক দিলীপ, পাল্টা কুনাল-সুজনরাও

এই তিনটি আসনেই মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৩ সেপ্টেম্বর। আর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৬ সেপ্টেম্বর। ভোট গণনা হবে ৩ অক্টোবর। যদিও রাজ্যে পাঁচ বিধানসভা কেন্দ্র গোসাবা, খড়দা, শান্তিপুর, দিনহাটা ও ভবানীপুরে উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তার মধ্যে শুধুমাত্র ভবানীপুরেই উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছে। করোনাবিধি মেনে ভোট প্রচারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। 

তবে শুধুমাত্র ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচনের দিনই কেন ঘোষণা করা হল? এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে লিখিত বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ‘রাজ্যের মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, এখন করোনা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি এই ভোটকেন্দ্রগুলির উপর প্রভাব ফেলেনি। রাজ্য নির্বাচনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। রাজ্যের কোনও মন্ত্রী ৬ মাসের মধ্যে ভোটে জিতে না এলে তৈরি হবে সাংবিধানিক সঙ্কট। সংবিধানের ১৬৪(৪) নম্বর ধারা দেখিয়ে এই উদাহরণ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। সাংবিধানিক প্রয়োজনীয়তা মেনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিশেষ অনুরোধে ভবানীপুরে ভোটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

Share this article
click me!