মোদী-অমিত শাহের সঙ্গে তিক্ততা, 'বাংলার ভোট করানোর' আগেই ইস্তফা লাভাসার

  • নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে সরলেন অশোক লাভাসা
  • পদত্যাগপত্র রামনাথ কোবিন্দের কাছে পাঠিয়েছেন তিনি
  • ৩১ অগস্টের মধ্য়ে কাজ থেকে অব্যাহতির আবেদন
  • তাঁর নেতৃত্বেই হওয়ার কথা ছিল বাংলার বিধানসভা নির্বাচন

Asianet News Bangla | Published : Aug 19, 2020 8:52 AM IST / Updated: Aug 19 2020, 02:31 PM IST

সম্ভবত তার নজরদারিতেইে হওয়ার কথা ছিল বাংলার ২১-শের বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে তার আগেই সরে দাঁড়ালেন অশোক লাভাসা। ইতিমধ্য়েই নিজের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। আগামী ৩১ অগস্টের মধ্য়ে কাজ থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, আগামী সেপ্টেম্বরেই এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে যোগ দেবেন লাভাসা। 

দেশের সাম্প্রতিক রাজনীতির ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে, লোকসভা নির্বাচনের আগে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন এই লাভাসা। মোদী-অমিত শাহের সঙ্গে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল তাঁর। নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগে বাকি নির্বাচন কমিশনাররা মোদী, অমিত  শাহকে ক্লিন চিট দিলেও প্রশ্ন তুলেছিলেন লাভাসা। তিন জনের মতামতের ভিত্তিতে মুখ্য় নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা ও আরও এক কমিশনার সুশীল চন্দ্র  মোদী-শাহদের ক্লিন চিট দেন।

পরে লোকসভা ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসে মোদী সরকার। শুরু হয় লাভাসার পরিবারের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতীহীন সম্পত্তির অভিযোগে মামলা । এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বৈদেশিক মুদ্রা আনার অভিযোগে লাভাসার ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। যদিও এই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি  করে অশোক লাভাসার পরিবার। সেই  থেকে মোদী-অমিত শাহ ব্রিগেডের সঙ্গে তিক্ততা রয়েছে তাঁর।

আদতে হরিয়ানা ক্যাডারের আমলা ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় অর্থ সচিবের পদ থেকে নির্বাচন কমিশনে যোগ দেন। ২০২২ সালের অক্টোবরে অবসর গ্রহণের সময় ছিল লাভাসার। তার আগে মুখ্য় নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে সুনীল অরোরার অবসর নেওয়ার কথা। নিয়ম অনুসারে অশোক লাভাসাই হতেন দেশের মুখ্য় নির্বাচন কমিশনার। পশ্চিমবঙ্গ ,উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, মণিপুরের পরবর্তী নির্বাচন তাঁর দায়িত্বেই হতো। কিন্তু তার আগেই সরে দাঁড়ালেন তিনি।  

Share this article
click me!