পাঁচিল টপকালেই ভাইরাস এক্সপার্ট সেন্টার, তবুও মুখ ফিরিয়ে মেডিক্য়াল কলেজ

  • কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পাশেই রয়েছে  কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় সংস্থা 
  • যাঁদের কাজের মূল বিষয়ই হল, যে কোনও মহামারির মোকাবিলা  
  • রাজ্য়ের জরুরি পরিস্থিতিতেও এই সংস্থাকে ব্রাত্য রাখার অভিযোগ 
  •  কেন্দ্র টাকা পাঠায়নি- ভাঁড়ার শূন্য,বলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য-অধিকর্তা 
     

Ritam Talukder | Published : Apr 3, 2020 5:29 AM IST / Updated: Apr 03 2020, 11:07 AM IST


 করোনার কোপে কার্যত কঠিন পরিস্থিতি মুখে রাজ্য় তথা দেশ। সম্প্রতি কলকাতার মেডিক্য়াল কলেজ , দেশের মধ্য়ে প্রথম করোনা হাসপাতাল হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে।  সেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পাশেই রয়েছে এই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় সংস্থা  'ইনস্টিটিউট অব হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ'। যাঁদের কাজ বা গবেষণার মূল বিষয়ই হল, মহামারির মোকাবিলা। অথচ এই  জরুরি পরিস্থিতিতেও শুধুমাত্র কেন্দ্র ও রাজ্যের বোঝাপড়ার অভাবে করোনা মোকাবিলায় এই সংস্থাকে ব্রাত্য রাখার অভিযোগ উঠেছে।  

আরও পড়ুন, করোনার জের, চলতি বছরে বড়সড় কোপ কলকাতার সেরা দুর্গাপুজোর বাজেটেও

'ইনস্টিটিউট অব হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ' সংস্থায় এপিডেমিয়োলজিস্ট, কমিউনিটি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মিলিয়ে প্রায় ৭০ জন চিকিৎসক আছেন। যাঁদের কাজ বা গবেষণার মূল বিষয়ই হল, মহামারির মোকাবিলা। অথচ কেন্দ্র বা রাজ্য, কোনও সরকারই তাঁদের ব্যবহার করছে না। এমনকি, তাঁদের চিকিৎসকেরা কাজ করতে চাইলেও প্রয়োজনীয় পোশাক ও পরিকাঠামো পাচ্ছেন না। রাজ্যের স্বাস্থ্য-অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, 'ওই সংস্থার কাছ থেকে আমাদের কোনও সাহায্য দরকার নেই।  আমরা নিজেরাই এখনও সামলাতে পারছি। 'বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা'-র স্থানীয় আধিকারিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরাও প্রশিক্ষণ ও নজরদারির কাজ চালাবেন।'তিনি আরও বলেন, ' করোনা পরিস্থিতিতে রোগীও প্রচুর আসছেন। কিন্তু আমাদের প্রয়োজনীয় 'পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট' নেই। কেন্দ্র টাকা পাঠায়নি। তাই ভাঁড়ার শূন্য। রাজ্য ২০০টি মাস্ক ও ১০ বোতল স্যানিটাইজ়ার দিয়েছে। আমরা চিকিৎসকেরা নিজেরাই কিছু জিনিস কিনেছি। কেন্দ্র বা রাজ্য, কোনও তরফেই এই বিষয়ে কিছু বলেওনি।'

আরও পড়ুন, নজিরবিহীন, পয়লা বৈশাখে এবার আর লেখকে-পাঠকে দেখা হবে না বই পাড়ায়, বেরোবে না নতুন বই


অপরদিকে, হাইজিনের এক প্রবীণ বিশেষজ্ঞ জানালেন, 'স্বাস্থ্য দফতর শেষ যে বিশেষ কমিটি ঘোষণা করল, তাতে স্বাস্থ্য-অধিকর্তা ছাড়া কোনও এপিডেমিয়োলজিস্ট নেই। কোনও মাইক্রোবায়োলজিস্ট বা কমিউনিটি মেডিসিন বিশেষজ্ঞও নেই। অথচ, এই ধরনের রোগ মূলত তাঁদেরই বিষয়।' রাজ্যের স্বাস্থ্য-অধিকর্তা অবশ্য বলেন, 'কিছু দিনের মধ্যেই ওই কমিটিতে এপিডেমিয়োলজিস্ট, কমিউনিটি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও মাইক্রোবায়োলজিস্ট নেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে এর মধ্যে টেনে আনলে সমস্যা বাড়বে।'

ফের তথ্য গোপন করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়ের ভাইয়ের, আইসোলেশনে ভর্তি বরানগরের বাসিন্দা

জ্বর নিয়েই ট্রেন করে একটানা অফিস, ভয়ে কাঁটা রাজ্য়ের করোনা আক্রান্তর সহকর্মীরা
 

রাজ্যে আরও এক করোনা আক্রান্তের হদিশ,সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ২২

 

 
 

Share this article
click me!