সারদা মায়ের জন্ম তিথি উপলক্ষে খোলা থাকবে বেলুড় মঠ। তাহলে চলুন জেনে নিন, সারদা মায়ের জন্ম তিথিতে কোন সময়ে এবং কোন কোন মন্দির খোলা থাকবে।
সারদা মায়ের জন্ম তিথি উপলক্ষে খোলা থাকবে বেলুড় মঠ। ২২ ডিসেম্বরই শ্রী সারদাদেবীর শুভ জন্মতিথি ( Sarada Devi's Birth Anniversary )। তবে কোভিড পরিস্থিতিতে কিছু নিয়মে নয়া সংযোজন করা হয়েছে। তাহলে চলুন জেনে নিন, সারদা মায়ের জন্ম তিথিতে কোন সময়ে এবং কোন কোন মন্দির খোলা থাকবে (Belur Math) ।
২৬ ডিসেম্বর ২০২১, রবিবার, শ্রী সারদাদেবীর শুভ জন্মতিথির দিন বেলুড় মঠ ভক্তদের জন্য খোলা থাকবে। সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এবং বিকাল ৩.৩০ টা থেকে ৫.০০ টা পর্যন্ত বেলুড় মঠ ভক্তদের জন্য খোলা থাকবে। শ্রীরামকৃষ্ণ মন্দির, শ্রীশ্রীমা সারদাদেবী মন্দির, স্বামী বিবেকানন্দ মন্দির ও স্বামী ব্রহ্মানন্দ মন্দির- এই চারটি মন্দিরে দর্শন ও প্রণাম নিবেদন করতে পারবেন। এবং পাশপাশি পূজ্যপাদ প্রেসিডেন্ট মহারাজ এবং পূজনীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট মহারাজগণকেও নির্দিষ্ট সময়ে ভক্তরা দর্শন ও প্রণাম নিবেদন করতে পারবেন। তবে করোনাকালে আগত ভক্তদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বসিয়ে ভোগ খাওয়ানোর পরিবর্তে শুকনো প্রসাদ (লাড্ডু) বিতরণ করা হবে। বলাইবাহুল্য সারদা মায়ের জন্মতিথি উপলক্ষ্যে ভক্তদের প্রচুর সমাগম হবে মন্দির চত্ত্বরে। তবে এই মুহূর্তে রাজ্যেও ছড়িয়েছে ওমিক্রণের জীবাণু। তাই কড়া সতর্কতা জারি মঠেও।
প্রসঙ্গত, কোভিড বর্ষে একটানা বন্ধ থেকে বেলুড় মঠ।উল্লেখ্য, মঠের প্রবীণ সন্নাসীরা অনেকেই কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর মাঝে দীর্ঘ সময় মঠ বন্ধ রাখতে হয়। সংক্রমণ ছড়ায় প্রথম বেলুড় চত্ত্বরে। বাইরে যাতায়াতের মাধ্যমেই কোনও না কোনওভাবে সেই সংক্রমণ মঠের অন্দরেও ছড়ায়। রাতারাতি বড়সড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঠের প্রত্যেকের শারীরিক সুরক্ষার কথা ভেবে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় বেলুড় মঠ। তারপর ১৮ ই অগাষ্ট ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্য খোলে বেলুড় মঠের দরজা। এরপরে চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে বেলুড় মঠ দর্শনের সময়সূচির পরিবর্তন করে বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ। তারপর নতুন করে সময় পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ। কোভিড পরিস্থিতিতে প্রথমবার পুনরায় খোলা পর কড়া সতর্কতা জারি করা হয়। মঠের প্রধান ফটক ঘিরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সাদা রঙ দিয়ে দাগ কেটে নির্দিষ্ট স্থান চিহ্নিত করা হয়। সকলকেই কোভিড বিধি মেনে বেলুড় মঠে প্রবেশ করতে হবে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রবেশ দ্বারে প্রত্যেকের হাতের স্যানিটাইজার দেওয়া হবে। থার্মাল গান দিয়ে মেপে নেওয়া হবে শরীরের তাপমাত্রা।