ফের ট্যাংরায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। রবিবার দুপুরে আচমকাই জ্বলে উঠল ট্যাংরার ক্রিস্টেফার রোডের বসতি।
ফের ট্যাংরায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। উল্লেখ্য, ১৩ মার্চের পর ফের এদিন রবিবার দুপুরে আচমকাই জ্বলে উঠল ট্যাংরার ক্রিস্টেফার রোডের বসতি। ঘন ঘন বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। কালো ধোঁয়ায় মুছে গিয়েছে গোটা এলাকা। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে আগুন নেভানোর কাজ।
জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে আচমকাই ট্যাংরার ক্রিস্টেফার রোডের বসতি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। বিষয়টি সবার নজরে পড়ার আগেই কালো ধোঁয়ায় মুড়ে যায় আকাশ। আগুন লেগে যায় এলাকার কারখানার । ঘনঘন বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায়। এরপরেই তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের অনুমান, গ্যাস সিলিন্ডার ফেটেই ওই আওয়াজ হচ্ছে। এরপরেই খবর দেওয়া হয় দমকলে। তবে দমকল এসে পৌঁছনোর আগেই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে বসতির একাধিক ঘর। ১৩ মার্চেও ট্যাংরায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়। তবে শুধু এবছরই নয়, আগুনের অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে পারেনি ট্যাংরা।
আরও পড়ুন, ভাদু শেখের খুন থেকে বগটুই গণহত্যা, সিসিটিভি ফুটেজে এল বিস্ফোরক তথ্য
গত বছর আগুনে পুড়ে ছাই ট্যাংরার প্লাস্টিকের গুদাম। ভোর রাতে ট্যাংরার প্লাস্টিকের রিসাইকেল করার গুদামে আগুন লাগে। একের পর এক বিস্ফোরণের আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায়। বাড়ি থেকে বাইরে বেরোতেই সবাই দেখেন দাউ দাউ আগুন। গুদামে প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে দমকলের ৬ টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কী করে আগুন লেগেছে সেবিষয়ে স্পষ্ট কারণ জানা যায়নি। তবে শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বলে অনুমান দমকল আধিকারিকদের। আগুনে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি মালিক পক্ষের।
আরও পড়ুন, 'মোদী-যোগী চুপ কেন', উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে পৌঁছে সরব সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস
কলকাতায় এর আগে অসংখ্যবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তাই এনিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। সব সুরক্ষা বিধি আদৌ মানা হচ্ছে কি না, রাজ্য সরকারের তরফে এই ধরনের রেস্তরাঁ সহ বহুতলের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে কি না, এ নিয়েও প্রশ্নও উঠছে। সবথেকে বড় বিষয় হল এলাকাগুলি ঘিঞ্জি হওয়ায় আগুন নেভাতে গিয়ে আরও বেশি সমস্যার মুখে পড়তে হয় দমকলের।
আরও পড়ুন, হাঁসখালিকাণ্ডে রিপোর্ট পড়ে কী নির্দেশ দিলেন নাড্ডা, এবার কি বড় পদক্ষেপের পথে বিজেপি
উল্লেখ্য, এই অসুবিধা শরৎ বোস রোডের বহুতল এবং কলুটোলা স্ট্রীটেও হয়েছিল। সম্প্রতি ১৫১ শরৎ বোস রোডের একটি বহুতলে আগুন লাগে। স্থানীয় সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, ওই বহুতলে একাধিক পরিবার বসবাস করেন। এক আবাসিকের ঘরে প্রথমে আগুন লাগে। হঠাৎ কালো ধোঁয়া দেখতে পান এক বাসিন্দা। এদিকে ঘিঞ্জি এলাকায় দ্রুত আগুন ছড়ানোর ভয়ে খবর দেওয়া হয় দমকল দফতরে। তার কিছু দিন আগেই কলুটোলা স্ট্রিট বাগরি মার্কেট কাছে একটি বহুতলে ভয়াবহ আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে দমকলের যায় ৮টি ইঞ্জিন। এদিকে ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নেভাতে গিয়ে রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হয় দলকল কর্মীদের।