সংক্ষিপ্ত

হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে রিপোর্ট জমা দিয়েছে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। জানুন রিপোর্ট পড়ে ইতিমধ্যেই জেপি নাড্ডা কী নির্দেশ দিয়েছেন।

হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে রিপোর্ট জমা দিয়েছে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। রিপোর্ট পড়ে ইতিমধ্যেই জেপি নাড্ডা নির্দেশ দিয়েছেন যে, জাতীয় মানবধিকার কমিশনের কাছে এই ঘটনা নিয়ে দ্বারস্থ হওয়া উচিত  বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির। সেই নির্দেশ মতো এবার  জাতীয় মানবধিকার কমিশনে দ্বারস্থ হতে চলেছেন তামিলনাড়ুর তামিলনাড়ুর বিধায়ক তথা মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী বনথি শ্রীনিবাসন এবং ইংরেজ বাজারের বিধায়ক শ্রীরুপা মিত্র চৌধুরী। 

বগটুইয়ের মতোই হাঁসখালিকাণ্ডে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সেই কমিটির প্রাথমিক ঘটনার একটি রিপোর্ট জেপি নাড্ডাকে জমা দেয়। সেই রিপোর্টে ঘটনার বিবরণ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতির কথা উল্লেখ করে ৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের সওয়াল করা হয়েছে রিপোর্টে। উল্লেখ্য, নববর্ষের প্রথম দিনেই হাঁসখালি রওনা দিয়েছিল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে নিজেদের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে বিজেপি। এই কমিটিতে চার জন সদস্য রয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের ধৌরহারা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ রেখা ভার্মা, তামিলনাড়ুর বিধায়ক তথা বিজেপির মহিলা মোর্চার সর্ব ভারতীয় সভানেত্রী বনতি শ্রীনিবাসন, বিজেপি নেত্রী খুশবু সুন্দর এবং মালদহ ইংরেজ বাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরুপা মিত্র চৌধুরি। হাঁসখালি থেকে ফিরে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে গণধর্ষণ ও খুনের রিপোর্ট দেবেন এই কমিটি।

আরও পড়ুন, প্রয়াগরাজে তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি, বিজেপি সরকারকে এসআইটি নিয়ে প্রশ্ন ডেরেকের

হাঁসখালি যাওয়ার কারণ নিয়ে বিজেপি নেত্রী খুশবু সুন্দর জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে হবে। তারপর সেই রিপোর্ট জেপি নাড্ডার কাছে জমা দেওয়া হয়। নদিয়া হাঁশখালি ধর্ষণকাণ্ডের অভিযোগ নিয়ে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি কোথায় কোথায় যায়, সেদিকে নজর রয়েছে সকলের। তবে হাঁসখালিতে প্রতিনিধি দল নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। এদিন হাঁসখালি রওনা দেবার আগে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য ও উত্তর প্রদেশের সংসদ রেখা ভার্মা। তার অভিযোগ, 'এই ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়ায়নি মুুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।'

আরও পড়ুন, 'জাহাঙ্গিরপুরীতে তৃণমূল যাচ্ছে, বাঁকুড়ায়-শিবপুরে-ইসলামপুরে কে যাবে', বিস্ফোরক দিলীপ

প্রসঙ্গত, শুধু হাঁসখালি তদন্তেই নয়, বগটুই হত্যাকাণ্ডেও কাজ করছে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। বিজেপির জমা দেওয়া ওই রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের নাম। এর পরেই বিজেপির রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তদন্ত চলাকালীনই বিজেপির কড়া সমালোচনা করেন তিনি। বিজেপির প্রতিনিধি দলের এই রিপোর্ট বগটুই হত্যাকাণ্ডের তদন্তকে প্রভাবিত করবে বলেই আশঙ্কা মমতার। তবে চুপ করে বসে নেই তৃণমূলও। দেশের বিজেপি শাসিত রাজ্যে নজর রয়েছে তাঁদের। জাহাঙ্গীরপুরির পর এবার রবিবার প্রয়াগরাজে রওনা দিয়েছে তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি।

আরও পড়ুন, ভাদু শেখের খুন থেকে বগটুই গণহত্যা, সিসিটিভি ফুটেজে এল বিস্ফোরক তথ্য