
'দুর্ভাগ্যবশত হয়েছে' অবশেষে বউবাজারকাণ্ডে মুখ খুললেন এবার মেট্রোকর্তা। যদিও তাতে চিড়ে বেজেনি মোটেই শাসক দলের। বাস্তুহারা বউবাজারকাণ্ডে এবার সরব রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মেট্রো রেলের কাজের জন্য বউবাজারে একের পর এক বাড়িতে যেভাবে ফাটল ধরছে, তার স্থায়ী সমাধান খুঁজতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। শুক্রবারই কলকাতা পুরসভা কেমএমআরসিএল বৈঠক। এই বৈঠকে থাকার কথা ফিরহাদ হাকিম, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডিয়ান ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রতিনিধিরাও। বৈঠকের পর মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ একটি প্রাথমিক রিপোর্ট দেবে।
এবিষয়ে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, শুধু প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না। ভবিষ্যতে আরও বড় কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে, সেই কারণে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।এদিন তিনি বলেন, একটা স্থায়ী সমাধান চাইছি। এই একটা তাপ্পি মেরে দিলাম। তারপর দুই বছর ৫ বছর পর আার কিছু হল, এটার জন্য মানুষ একদম অনিশ্চয়তার মধ্য়ে রয়েছে। অশ্চিয়তার মধ্য়ে একটা মানুষের পক্ষে থাকা সম্ভব নয়। এর আগেও বউবাজার বিপর্যয় নিয়ে মেট্রো কর্তপক্ষকে অনেক পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সেগুলি মানা হয়নি বলে অভিযোগ ফিরহাদের। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এবং মুখ্যসচিবের সঙ্গেও কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ।
আরও পড়ুন, 'আমি পাগল নই, নাটক করিনি, প্রমাণিত', আত্মহত্যার মামলায় কুণালকে দোষী সাব্যস্ত করল কোর্ট
প্রসঙ্গত, মেট্রো প্রকল্পের জেরে বুধবার সন্ধ্যার পর থেকেই বউবাজারে একাধিক বাড়ি-রাস্তায় ফাঁটল দেখা যায়। মেট্রোর কাজ চলাকালীন বউবাজারের দুর্গাপিতুরি লেনের ৮ থেকে ১০ টি বাড়িতে ফাঁটল দেখা গিয়েছে। রাত যত বেড়েছে, বাড়ির ফাঁটল তত চওড়া হয়েছে।মেট্রো রেলের যেখান দিয়ে টানেল বোরিং মেশিন তোলা হয়েছিল, সেখানে কংক্রিট করার কাজ চলছে। কিন্তু তা সত্ত্বও কোনও কারণে মাটির নীচ থেকে জল উঠে আসে। ওই জায়গায় কংক্রিট দিয়ে ভরাট করা হলেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ৩০ থেকে ৩৫টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত।সুরঙ্গের ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে আসছে অবিরাম জল, রাতভোর বোজানোর চেষ্টা করা হয়েছে। টানা কাজ করার পর সেই ছিদ্র বোজানো সম্ভব করেন কেএমআরসিল-র কর্মীরা। শুক্রবার মেট্রোর সঙ্গে কলকাতা পুরসভার বৈঠক।
অপরদিকে, বুধবার গভীর রাতে বাড়ি খালি করার জন্য আচমকাই মাইকিং শুরু হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলের আধিকারিকরা। মাঝরাতে এক থেকে দেড় ঘন্টার নোটিসে বাধ্য হয়ে ঘর ছেড়ে অনেক পরিবার। বিপজ্জনক বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকা জরুরী নথি এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ক্রিক রো হোটেল কিউ ইন এবং গনেশ চন্দ্র এভিনিউের ব্রডওয়ে হোটেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। মধ্যরাতে ঘর ছেড়ে কার্যত ফুঁসছেন বউবাজারের বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন, 'নোবেল পাওয়ার ক্ষমতা রাখেন মমতা', ফের বিস্ফোরক দিলীপ