সংক্ষিপ্ত
'মেট্রো রেল দায়ী নয়, তৃণমূলের নেতারাই প্ল্যান বদলে দিয়েছিলেন', বউবাজারকাণ্ডে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ।বউবাজারবাসীর এহেন করুণ দশার জন্য তৃণমূলের সরকারকেই দায়ী করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
'মেট্রো রেল দায়ী নয়, তৃণমূলের নেতারাই প্ল্যান বদলে দিয়েছিলেন', বউবাজারকাণ্ডে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ। মেট্রো প্রকল্পের জেরে বউবাজারে একাধিক বাড়ি-রাস্তায় ফের ফাঁটল ধরে। মেট্রোর কাজ চলাকালীন বউবাজারের দুর্গাপিতুরি লেনের একাধিক বাড়িতে এই ফাঁটল দেখা গিয়েছে। বাড়ি খালি করার জন্য আচমকাই মাইকিং শুরু হয় মাঝরাত্তিরে। ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলের আধিকারিকরা। মাঝরাতে এক থেকে দেড় ঘন্টার নোটিসে বাধ্য হয়ে ঘর ছাড়ে অনেক পরিবার। এদিকে বউবাজারবাসীর এহেন করুণ দশার জন্য তৃণমূলের সরকারকেই দায়ী করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে চুপ করে বসে নেই তৃণমূলও। পাল্টা তোপ দেগেছেন তৃণমূলের সাংসদ।
দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'এর জন্য মেট্রো রেল দায়ী নয়। মেট্রো রেল যে ড্রইং করেছিল, সেটা তৃণমূলের নেতারাই পাল্টে দিয়ে বউবাজারের উপর দিয়ে ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। তড়িঘড়ি করতে গিয়ে এটা হয়েছে। কিছু ডিফেক্ট আছে হয়তো ওখানে। তাই বারবার এমনটাই ঘটছে। এখন কলকাতার মানুষকে পাতালে প্রবেশের আগে ভয়ে ভয়ে বেঁচে থাকতে হবে। খুবই চিন্তার বিষয়। মানুষের জীবনের সুরক্ষা দিতে পারছে না এই তৃণমূল সরকার।' যদিও দিলীপ ঘোষের পাল্টা তোপ দেগেছেন, তৃণমূলের সাংসদ শান্তনু সেন। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, 'দিলীপ ঘোষের বোঝা উচিত, মেট্রো রেল চালায় কেন্দ্রীয় সরকারের রেল দফতর। সেই মেট্রো রেলের প্ল্যান যদি, তৃণমূল বদলে দিতে পারে, তাহলে দিলীপ বাবুদের লজ্জায় পদত্যাগ করা উচিত। তৃণমূল যদি রেলের প্ল্যান বদলে দিতে পারে, তাহলে ভারত থেকে বিজেপিকেও যে তৃণমূল উৎখাত করতে পারে, সেবিষয়ে দিলীপবাবুদের এখন থেকেই ভাবা উচিত।'
আরও পড়ুন, গভীর রাতে আচমকাই বুকে ব্যাথা, ফের কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি হলেন অনুব্রত মন্ডল
আরও পড়ুন, 'যিনি আমাকে হারানোর চেষ্টা চালিয়েছেন, এখন আমি তাঁরও বিধায়ক', শপথ নিতে এসে খোঁচা বাবুলের
প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যায় আচমকাই ফের মেট্রো প্রকল্পের জেরে একাধিক বাড়ি-রাস্তায় ফাঁটল দেখা যায়। মেট্রোর কাজ চলাকালীন বউবাজারের দুর্গাপিতুরি লেনের একাধিক বাড়িতে ফাঁটল দেখা যায়। বাড়ি খালি করার জন্য আচমকাই শুরু হয় মাইকিং। ঘটনাস্থলে পৌছন রেলের আধিকারিকরা। মাঝরাতে এক থেকে দেড় ঘন্টার নোটিসে বাধ্য হয়ে ঘর ছেড়ে অনেক পরিবার। বিপজ্জনক বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকা জরুরী নথি এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ক্রিক রো হোটেল কিউ ইন এবং গনেশ চন্দ্র এভিনিউের ব্রডওয়ে হোটেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। যদিও হোটেলের তরফ থেকে বা রেলের তরফে আবাসিকদের জন্য কোনও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ। যদিও মেট্রোর তরফ থেকে এখনও নির্দিষ্ট কোনও বক্তব্য মেলেনি। বউবাজারবাসীদের একটাই প্রশ্ন, প্রাণের দাম নেই কি তাঁদের। কেন বারবার ফাঁটল, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষও।
আরও পড়ুন, আজও ভিজবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ, প্রবল বর্ষণ উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায়