এখনও জ্বরে কাবু ফিরহাদ হাকিম। প্রেসিডেন্সি জেলে বুধবার সকালে তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়। তবে এখনও তার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। বুধবার প্রেসিডেন্সি জেলে ফিরহাদ হাকিমের সাথে দেখা করতে যান তাঁর ছোট ও মেজো মেয়ে আফসা এবং সাবা। জেল থেকে বেড়িয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তাঁরা।
আফসা ও সাবা জানান, ফিরহাদ হাকিমের জ্বর রয়েছে। অন্যান্য ওষুধ চলছে। তবে তারই সঙ্গে বুধবার করোনা টেস্ট করা হয়েছে ফিরহাদের। এদিন ফিরহাদের সঙ্গে দেখা হয়নি তাঁর দুই মেয়ের। তবে প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। ফিরহাদ হাকিমের শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন।
এদিকে, এদিন সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের তৃণমূলের। গড়িয়াহাট থানায় দায়ের হল মামলা। ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের আওতায় ৫১ (বি) ও ভারতীয় দন্ডবিধির ১৬৬, ১৬৬এ, ১৮৮, ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়ের করেছেন তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
১৭ই মে তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি অবৈধ, দাবি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৭ তারিখেই এই অভিযোগ দায়ের করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেই অভিযোগটিকেই এফআইআরে পরিণত করল কলকাতা পুলিশ। অভিযোগে জানানো হয়েছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিমকে অবৈধভাবে গ্রেফতারের জন্য সংশ্লিষ্ট সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে তৃণমূলের মন্ত্রীদের।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে কোনও অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট নিতে এঁদের গ্রেফতার করা হয়নি। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। পাশাপাশি, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের অভিযোগ, বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় বা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না, কারণ নারদা মামলায় তাঁরাও সমানভাবে জড়িত।