এই ঘটনায় বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায়অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।ওই এজেন্সির কর্মীরাও প্রতারিত হয়েছে বলে অভিযোগ।
কালের অগ্রগতির সাথে সাথেই নিত্যনতুন প্রতারণার ছর মাথাচাড়া দিচ্ছে রাজ্য সহ গোটা দেশেই। কখনও অনলাইনে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি তো কখনও আবার ব্ল্যকমেলিংয়ে নাজেহাল হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এমতাবস্থায় এবার ট্রাভেল এজেন্সি খুলে বিভিন্ন দেশ বিদেশে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠল। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায়(Bidhannagar Electronics Complex Police station) অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।ওই এজেন্সির কর্মীরাও প্রতারিত হয়েছে বলে অভিযোগ। তারাও তাদের নির্দিষ্ট বেতন পায়নি। এদিন সকালে দেখা যায় সেক্টর ফাইভের ওই অফিসটি আচমকাই উঠে গিয়েছে। অফিসে গিয়ে অনেক কর্মী তাদের উধ্বর্তন আধিকারিকদের কল করলেও কেউ ফোন তোলেননি। ইতিমধ্ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অভিযোগ, প্রতারিতরা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিজ্ঞাপন দেখেই প্রতারকদের খপ্পরে প্রথম পড়ে। সার্কি ট্রাভেলস নামে একটি এজেন্সির তরফে দেওয়া ওই বিজ্ঞাপনে অনেক কম খরচে থাইল্যান্ড, দুবাই, মলদ্বীপ, বালি, গোয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানানো হয়। ওই বিজ্ঞাপন দেখে বিভিন্ন মানুষ তারা ঘুরতে যাওয়ার জন্য যোগাযোগ করে। এমনকি আগ্রহীদের এর জন্য আগামা টাকা জমা দেওয়ার জন্যও সংস্থার তরফে জানানো হয়। এদিকে ঘুরতে যাওয়ার জন্য কেউ পুরো টাকা পেমেন্ট করে বা কেউ অর্ধেক পেমেন্ট করেন বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন- রাশিয়ান মহাকাশযান থেকে মুছে গেল আমেরিকা-জাপান-ব্রিটেনের পতাকা, রইল ভারতের তেরঙা পতাকা
এদিকে প্রতারিতরা জানাচ্ছেন ১৫ ই মার্চের পর থেকে ঘুরতে যাওয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল তাদের।কিন্তু গত দুদিন ধরে এই এজেন্সির কর্মীরা দেখতে পান এজেন্সির কর্ণধার থেকে শুরু করে প্রধান মাথাদের মোবাইল সুইচ অফ। তখন তারা বুঝতে পারেন তারা প্রতারিত হয়েছেন। এরপর ওই কর্মীরাই বিভিন্ন মানুষের সাথে যোগাযোগ করে যারা ঘুরতে যাওয়ার জন্য টাকা দিয়েছিলেন তাদের সব কিছু খুলে বলেন। আর তাতেই গ্রাহকদের মধ্যে তৈরি হয় তীব্র আতঙ্ক। ওই কর্মীরাই এদিন সকালে যখন অফিসে আসেন তখন তারা দেখেন অফিস বন্ধ অফিসের সব কিছু নিয়ে চলে গেছে কেউ বা কারা। তখন তারা বুঝতে পারে তারাও চূড়ান্ত ভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছেন কারণ তাদেরও এক মাসের স্যালারি বাকি রয়েছে। তখনই সবাই দল বেঁধে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা অভিযোগ জানান। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জোরকদমে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই সংস্থার মাতায় কারা আছে তাদের খোঁজেও চলছে জোরদার তল্লাশি।