সংক্ষিপ্ত
বৃহষ্পতিবারই উত্তরপ্রদেশে শুরু হয়েছে ষষ্ঠ দফার ভোট। তারমধ্যেই বারাণসীতে অখিলেশ যাদবের হয়ে প্রচারে বিজেপিকে দফায় দফায় বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যোগী ব্রিগেডের উপর চাপ বাড়িয়ে ফের অখিলেশের সমর্থনে প্রচারে রাস্তায় দেখা গেল মমতাকে। এমনকি সেই সভা থেকে কড়া ভাষায় আক্রমণও শানাতে দেখা যায় মমতাকে। এদিকে বৃহষ্পতিবারই উত্তরপ্রদেশে শুরু হয়েছে ষষ্ঠ দফার ভোট। তারমধ্যেই বারাণসীতে অখিলেশ যাদবের হয়ে প্রচারে(Akhilesh Yadav's campaign in Varanasi) বিজেপিকে দফায় দফায় বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। মোদী-যোগীকে একযোগে করলেন আক্রমণ। এমনকি নরেন্দ্র মোদী-যোগী আদিত্যনাথের(Modi-Yogi Adityanath) সম্পর্ক নিয়েও তুললেন একগুচ্ছ প্রশ্ন। চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রণণ শানিয়ে এদিন মমতা বলেন, “আপনারা অনেক পাপ করেছেন। ভোটের সময় হিন্দু-মুসলিম করেন। অন্যসময় তাদের ভুলে যান। ইউক্রেনে আটকে থাকা উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দাদের ফেরাতে কেন যোগী প্রশাসনের এত সময় লাগছে? ”। মমতার এই আক্রমণে অস্বস্তি বেড়েছে যোগী শিবিরের অন্দরেও।
অন্যদিকে রাজ্যে মমতা আসায় উচ্ছ্বাসের ছবি দরা পড়েছে সমাজবাদী পার্টির অন্দরেও। বারাণসীর সভা থেকে অখিলেশ বললেন, মমতা আসায় শুধু যে সমাজবাদী পার্টি ভরসা পাচ্ছে তাই নয়, ভরসা পাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের সাধারণ মানুষও। এদিন মমতা প্রসঙ্গে অখিলেশ আরও বলেন, “মমতাকে দেখেই হারের ভয় পাচ্ছে বিজেপি। বাংলায় ভয়ংকর সেই হারের স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে ওদের।মমতা দিদি বাংলায় ঐতিহাসিক লড়াই করেছেন। বিজেপি ওখানে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সেই ভোটও মমতা জিতে এসেছেন। আপনি এখানে এসে শুধু যে আমরাই আত্মবিশ্বাস পেলাম তাই নয়, শুধু যে সমাজবাদী পার্টির কর্মীরাই আত্মবিশ্বাস পেল তাই নয়, গোটা রাজ্য ভরসা পেল।” এদিকে অখিলেশের এই বক্তব্য যে বাংলার ঘাসফুল শিবিরের উদ্দিপনা অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুন- শুরু ফলপ্রকাশের কাউন্টডাউন, কার হাতে যাচ্ছে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ
আরও পড়ুন- কার দখলে কৃষ্ণনগর, রাত পোহালেই ফলপ্রকাশ
আরও পড়ুন- কার দখলে যাচ্ছে নবদ্বীপ পৌরসভা, শুরু কাউন্টডাউন
অন্যদিকে এদিন মোদীকে লাগাতার আক্রমণের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করতে দেখা যায় মমতাকে। যোগী আদিত্যনাথকে কড়া ভাষায় কটাক্ষ করে মমতা বলেন, “উনি নামেই যোগী, কিন্তু কর্মে ভোগী। শুধু ভোগ করে গিয়েছেন। আমার সঙ্গে বেশি গুন্ডাগিরি করবেন না যোগীজি। আমি ভয় পাই না, রুখে দাঁড়াতে জানি।” অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দাদের কাছে মমতার সাফ আবেদন, “অখিলেশ-জয়ন্ত আপনার ঘরের ছেলে। তাই ওদের ভোট দিন। সমাজবাদী পার্টির জোট উত্তর প্রদেশে ক্ষমতায় এলে বাংলার সঙ্গে সম্পর্ক আরও ভালো হবে। একসঙ্গে কাজ করা যাবে।” মমতার এদিনের সভা নিয়েই নতুন চর্চা শুরু হয়েছে দেশের রাজনৈতিক মহলে।