গড়িয়াহাটের বৃদ্ধা খুনের ঘটনার রহস্য়ের কিনারা করল পুলিশ। বৃদ্ধা খুনে অভিযুক্ত বড় ছেলের মেয়ে এবং বৌ দুজনকেই ইতিমধ্য়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এই খুনের ঘটনায় সঙ্গ দিয়েছিল বড় ছেলের বৌ-র প্রেমিক। ঘটনার দিন থেকে সে ফেরার ছিল। সৌরভ পুরি নামের সেই যুবককে পাঞ্জাব থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও জানুন, মুখ্যমন্ত্রীর ভাইকে অপহরণ, ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি
পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত একমাস ধরে শাশুড়িকে খুনের প্ল্য়ান করছিল বৌমা, নাতনি এবং তাঁর প্রেমিক। এবং সৌরভ পুরি নামে ওই যুবক একই সঙ্গে মা ও মেয়ের সঙ্গে প্রেম চালাত। বৃদ্ধার দুই ছেলে, মন্দিপ এবং বলরাজ প্রধানত ব্য়বসা চালাত। কিন্তু মন্দিপের মৃত্য়ুর পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, মন্দিপের স্ত্রী ডিম্পলকে মাসোহারা দেওয়া হবে। সেই টাকা পরে বাড়ানোও হয়। কিন্তু বড় বৌ-র লোভ ছিল সম্পত্ত্বি সহ ফ্ল্য়াটের। শাশুড়ির কাছে চেয়ে না মেলায়, তারপরই তাঁরা তিন জন মিলে খুন করে ওই বৃদ্ধাকে। আরও জানা গিয়েছে, সৌরভ পুরি নামের ওই ছেলেটি পাঞ্জাবেই একটি ছোট ব্য়বসা করত। গত জুলাই-আগস্ট মাসে ওই ছেলেটি কলকাতায় আসে।
ারও পড়ুন, উত্তর ভারতে শুরু হয়েছে তুষারপাত, এদিকে কলকাতায় এখনও শীতের দেখা নেই
বৃহস্পতিবার সকাল বেলায় প্রতিবেশীরা ডাকতে গেলে দেখে বৃদ্ধার গলার নলি কাটা পেট কাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। প্রতিবেশীদের থেকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এক বাসিন্দা জানালেন, তাদের এলাকার পাশেই বস্তি এলাকা। সেখান থেকেই রাত বাড়লেই লোকজন নেশা করতে আসে। তাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকার জন্য় রাস্তার মোড়ে সিসিটিভি বসানোর আর্জি অনেকদিন ধরে জানিয়ে এসেছেন। লালবাজার হোমিসাইড শাখার তরফ থেকেও রিপোর্ট নেওয়া হয়। এছাড়া ঘটনাস্থলে আসেন জয়েন সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মা । বৃদ্ধার ঘরের সমস্ত জিনিস লন্ডভন্ড ছিল। তদন্তে জানা গিয়েছে, খুনের আগে বৃদ্ধার ঘরের লকারে হাত দিতে না দেওয়া নিয়েও চলছিল বচসা। এবং ওই ঘরের থেকে ২০০০ টাকার বান্ডিলের কোনও খোঁজ নেই। তবে অভিযুক্তদের থেকে আরও অনেককিছু জানতে পারবে বলে পুলিশের অনুমান।