সরাসরি রাজ্য সরকারের সমালোচনা করলেন না। কিন্তু রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রথমবার মুখ খুলেই রাজ্যের উপরে চাপ বাড়ালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এ দিন হাসপাতালে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংকে দেখতে গিয়ে নতুন রাজ্যপাল বলেন, রাজ্যে হিংসার ঘটনা দেখে তিনি ব্যথিত।
রবিবার কাঁকিনাড়ায় অশান্তির মধ্যেই মাথা ফাটে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের। এ দিন সকালে বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে অর্জুন সিংকে দেখতে যান রাজ্যপাল। দিল্লি সফর কাটছাঁট করে তিনি কলকাতায় ফিরে এসে অর্জুন সিংকে দেখতে আসেন বলে নিজেই জানান রাজ্যপাল। অর্জুন সিংয়ের উপরে হামলার ঘটনা অত্যন্ত গুরুতর বিষয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অর্জুন সিং যে কেবিনে ভর্তি রয়েছেন, সেখানে গিয়ে আহত সাংসদের শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ নেন রাজ্যপাল। রবিবার ঠিক কী ঘটেছিল, তাও রাজ্যপালকে জানান বিজেপি সাংসদ।
আরও পড়ুন- বিজেপি-র বনধে থমথমে ব্যারাকপুর, দফায় দফায় রেল, রাস্তা অবরোধ
আরও পড়ুন- খাসতালুকে রক্ত ঝরল অর্জুনের, গুরুতর আহত সাংসদকে আনা হল কলকাতায়
হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় রাজ্যপাল বলেন, 'এই গুরুতর ঘটনা শুনে আমি খুবই চিন্তিত। সেই কারণেই দিল্লি সফর কাটছাঁট করে ফিরে সোজা হাসপাতালে এসেছি।' এর পরেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ধনখড় বলেন, 'এ বিষয়ে আমার থেকে আপনাদের কাছে বেশি তথ্য আছে। পশ্চিমবঙ্গের হিংসা নয়, শান্তির প্রয়োজন। অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাওয়া উচিত। সাংবিধানিক পদে থেকে আমার উদ্দেশ্যই হল আইনের শাসনে এবং শান্তিপূর্ণ পথে আস্থা রাখা উচিত। হিংসা এড়ানো উচিত। হিংসার ঘটনা দেখে আমি ব্যথিত। শিক্ষক, চিকিৎসক, আইনজীবী বা সাংবাদিকদের সঙ্গে কিছু ঘটলে আমি ব্যথিত হই। এমন ব্যবস্থা থাকা উচিত, যেখানে সবাই শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে কাজ করবে, কোনও হিংসায় জড়াবে না। এ বিষয়ে যেখানে কথা বলার আমি বলব।'
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম রাজ্য়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন জগদীপ ধনখড়। আর প্রথমবারই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নাম না করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের উপরে চাপ বাড়ালেন তিনি।
রাজ্যপালের এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে রাজ্য সরকারের উপরে চাপ বাড়াবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ধনখড়ের পূর্বসূরী কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে বার বার সংঘাতে জড়িয়েছিল রাজ্য় সরকার। নতুন রাজ্যপালের এই মন্তব্য রাজ্য সরকার কীভাবে নেবে, তা নিয়েও যথেষ্টই সংশয় থাকছে।