একজন 'নির্বাচিত', আর এক 'মনোনীত'। করোনা আবহে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছেন না! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার 'আরও ভাষায় পাল্টা চিঠি' দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি টুইট করেছেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠি জবাব দিয়েছি। আশা করি, শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং সকলে একসঙ্গে বিপদের মোকাবিলার চেষ্টা করবে।'
আরও পড়ুন: ৪ঠা মে-র পর ধাপে ধাপে উঠুক লকডাউন, জানালেন মমতা
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকায় খুশি নন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর একের এক বিবৃতিতে ক্ষোভ বেড়েছে প্রশাসনের অন্দরে। ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙেছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলায় কড় ভাষায় রাজ্যপালকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, 'আমি ভারতের গর্বিত এক রাজ্যের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী। আপনি হয়তো এও ভুলে গিয়েছেন যে আপনি একজন মনোনীত রাজ্যপাল। আপনি আমার সরকার বা মন্ত্রিসভার সদস্যদের পরামর্শ বা ইনপুট নাও গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু ১৯৪৯ সালের ৩১ মে সংবিধান সভায় দাঁড়িয়ে বাবা সাহেব আম্বেদকর যে কথা বলেছিলেন, তা আপনার উপেক্ষা করা উচিত নয়।'
এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পাল্টা প্রতিক্রিয়া আসে রাজভবন থেকেও। বৃহস্পতিবার রাতেই পাল্টা চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে 'সাংবিধানিক কর্তব্য' স্মরণ করিয়ে দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। চিঠিটি টুইট করে জানান, 'মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দিয়েছেন। বিস্তারি যা বলার, কাল(শুক্রবার) বলবেন।' শুধু তাই নয়, রাজ্যের পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের জানা দরকার বলেও মন্তব্য করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
সূত্রের খবর, শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীকে ১৪ পাতার দীর্ঘ চিঠি পাঠিয়ে একাধিক বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগও তুলেছেন। রাজ্যপালের মতে, নিজামুদ্দিন-মারকাজের ঘটনা নিয়ে প্রশ্নেও মেজাজ হারাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। থামিয়ে দিচ্ছেন সাংবাদিকদের। যা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। এখানেই শেষ নয়। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও চিঠিতে রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী আক্রমণ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। টুইটও করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।