বাংলায়, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসার পর থেকেই রাজ্য ও কেন্দ্র সংঘাত চরমে পৌঁছেছে৷ অবশেষে রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় কলকাতায় করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় দল৷ পাশাপাশি মুখ্য সচিব রাজীব সিনহার মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের করোনা আক্রান্ত রাজ্যের তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ ১২ নম্বরে। উত্তরবঙ্গের যে জেলাগুলি তারা দেখতে চেয়েছেন, সেখানে করোনা সংক্রমণের খবর নেই। তাহলে প্রশ্ন উঠেছে, পরিদর্শনের জন্য এই জায়গাগুলিকে বেছে নেওয়ার পিছনে কী কারণ লুকিয়ে আছে।
আরও পড়ুন, ৪ঠা মে-র পর ধাপে ধাপে উঠুক লকডাউন, জানালেন মমতা
বৃহস্পতিবার মুখ্যসচিব বলেন, 'মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার কলকাতার একাধিক জায়গা তাদের ঘুরিয়ে দেখানো হয়েছে। নিউ টাউনের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার, এম আর বাঙ্গুরের মত হাসপাতালেও যান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল৷ দাবি মতো, রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের ব্যবস্থাও করা হয়। এরপর, আর নতুন করে আমাদের কিছু করার নেই। তাই ফিল্ড ভিজিটেরও কোনও দরকার নেই। তবে, ওঁরা যদি এরপরেও থাকতে চান ছুটি কাটানোর জন্য সাতদিন কলকাতায় থেকে যেতে পারেন।'
অপরদিকে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্য সরকারকে যে তালিকা দিয়েছিল,সেই তালিকায় ছিল রাজ্যের বেশ কিছু হটস্পট এলাকা, করোনা হাসপাতাল, কিছু মার্কেট৷ সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় দলটি যে সব হাসপাতালে যেতে চেয়েছিল তা হল, কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল এবং এমআর বাঙ্গুর হাসপাতাল ৷ এছাড়া হাওড়ার সত্যবালা আইডি ,গোলাবাড়ির আইএলএস হাসপাতাল ও ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার৷ সল্টলেক আমরি হাসপাতাল, বারাসতের জিএনআরসি নার্সিংহোম, রাজারহাটের চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতাল ও হজ হাউসের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার৷ এছাড়াও পাঁশকুড়ার বড় মা হাসপাতাল, তমলুক জেলা হাসপাতাল, হলদিয়া এসডি হাসপাতালের পাশাপাশি হলদিয়া লজিস্টিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার৷
করোনা সচেতনতায় মৌলালি ও বেহালায় মুখ্যমন্ত্রী, লকডাউন সফলে এলাকাবাসীকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি
মেডিক্যালের ছোঁওয়া মানিকতলায়, করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসায় দমকল কেন্দ্রের ৩২ কর্মী কোয়রান্টিনে
বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া, মেডিক্য়ালে চিকিৎসক ও সংক্রামিত রোগী থেকে কোয়ারেন্টিনে অন্তত আরও ৪৫
সঙ্ঘাত শেষেও ঘরবন্দি, করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মুখ্যসচিবকে চিঠি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের