পটাশপুরে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে চড়ছে রাজনীতির পারদ। কলকাতায় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দেহ নিয়ে মিছিলও করেছেন গেরুয়াশিবিরের কর্মী-সমর্থকরা। টুইট করে এবার পুলিশের বিরুদ্ধে অমানবিক আচরণের অভিযোগ তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও লিখেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: রেলকর্মীর শ্লীলতাহানি-মারধরের অভিযোগ, দিদিকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত নির্যাতিতার ভাই
ঘটনার সূত্রপাত কয়েক মাস আগে। পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর থানার কনকপুর গ্রামের বাসিন্দা কিশোর ঘোড়ই। স্থানীয় বাসুদেবপুর এলাকা এক যুবতীকে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কিশোরের সঙ্গে ওই যুবতীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এরপর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন ওই যুবতীর পরিবারের লোকেরা। কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ওই যুবক ও তাঁর মা-এর খোঁজ মেলেনি। তারপর? কাকা মদন কুমার ঘোড়ই গ্রেফতার করে পটাশপুর থানার পুলিশ। তিনি আবার এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। ধৃতকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। জেল হেফাজতে থাকাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর প্রথমে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে, ও পরে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। মঙ্গলবার দুপুরে মদনবাবুর মৃত্যু খবর জানানো হয় পুলিশের তরফে।
আরও পড়ুন: মেলেনি কোচিং, তবুও দরিদ্রতার পাহাড় পেরিয়ে মেডিক্য়ালে সফল শ্রমিকের ছেলে সৌরদীপ
কীভাবে এমনটা ঘটল? জেল হেফাজতে থাকাকালীন মদন কুমার ঘোড়ই-এর উপর পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। কলকাতার আনার পর, শুক্রবার দেহ নিয়ে মিছিল করেন গেরুয়াশিবিরের কর্মী-সমর্থকরা। রবিরার সকালে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় টুইট করেন, 'জেল হেফাজতে মদন ঘোড়ুই-এর মৃত্যু পুলিশি নির্যাতনের ভয়াবহ উদাহরণ।' শুধু তাই নয়, আলাদাভাবে টুইট করে রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের কর্তাদের 'রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ' থাকারও বার্তাও দিয়েছেন রাজ্যপাল।