কদিন আগেই রাজ্য়ের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে আচার্যের অধিকার খর্ব করেছে রাজ্য় সরকার। যা নিয়ে মুখ খুললেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়। উত্তর ২৪ পরগনার বনহুগলিতে এক অনুষ্ঠানে ধনখড় বলেন, আচার্যকে বাদ দিয়ে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন হতে পারে না। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় তিনি যথেষ্ট ব্যথিত।
থামছে না রাজ্য-রাজ্য়পাল সংঘাত। হাসপাতালের অনুষ্ঠানে সুযোগ পেয়ে মমতাকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না রাজ্য়পাল। এদিন তিনি বলেন, প্রথম দিন থেকে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের মমতা পাওয়ার প্রয়াস করে চলেছি আমি। আমার মধ্য়েও অনেক খুঁত থাকতে পারে। মেডিকেল কোনও সমস্যা থাকলে আপানারা (ডাক্তাররা) ঠিক করে দেবেন। এখানে দেখতে পাচ্ছি, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে অন্যান্য মন্ত্রী এমনকী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের তাদের কর্তব্য সম্পর্কে অবহিত করাতে হচ্ছে। তবে আমি মনে করি, আমার এই প্রচেষ্টা সফল হবে বলে।
তবে এই বলেই থেমে থাকেনিন রাজ্য়পাল। রাজ্য়ের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নিয়ে রাজ্য় সরকারের নীতির সমালোচনা করেন ধনখড়। তিনি বলেন, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নীতি নিয়োগ ব্যবস্থায় আচার্যের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অথচ বর্তমানে রাজ্য়ের বিশ্ববিদ্য়ালয়ে যা হচ্ছে, তা আশা করা যায় না। রাজ্য়ের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী বলছে, কদিন আগেই রাজ্য়পালের ভাষা নিয়ে টুইট করেছিলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা ভাষায় কথা বলার রাজ্য়পালকে টুইট করেছিলেন তিনি। এদিন যার জবাব দিয়েছেন রাজ্য়পাল। ধনখড় বলেন, ভারতীয় সংবিধানে বলা হয়েছে হিন্দি হচ্ছে রাষ্ট্রীয় ভাষা। তাই ইংরেজির পাশাপাশি হিন্দিতেও কথা বলার জন্য নিরন্তর প্রয়াস চালানো উচিত।
সম্প্রতি বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। মূলত সমাবর্তনের যে অংশে আচার্য হিসেবে রাজ্যপালের থাকার কথা, সেই অংশটিই অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হতে চলেছে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসে রাজ্যপালের আসাকে কেন্দ্র করে অশান্তি এড়াতেই নাকি কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। সমাবর্তনের দিন ক্যাম্পাসে রাজ্যপাল এলে তাঁকে বয়কট এবং কালো পতাকা দেখানো হবে ইতিমধ্য়েই জানিয়েছে পড়ুয়ারা।