টুইট করে পিছু হঠলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তবে কি শেষঅবধি পিছু হঠলেন রাজ্যপাল, প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
টুইট করে পিছু হঠলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা অটুট বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল। ধনখড় টুইটে লিখেছেন, 'সাংবিধানিক কর্মকর্তাদের মধ্য়ে সংলাপ এবং সম্প্রীতিই হল গণতন্ত্রের সারমর্ম এবং চেতনা। এটি সংবিধানের আদেশ। পারপস্পরিক সম্মান এবং শ্রদ্ধার মাধ্যেমেই তা কার্যকরী করা সম্ভব। আপনার জন্য আমার ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা রয়েছে।' এই বার্তা মমতা বিবেচনা করে দেখবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। ধনখড় টুইটে আরও জানিয়েছেন, তিনি সোমবার সকালে মমতাকে হোয়াটসঅ্যাপ করেন। সেই বার্তা মুখ্যমন্ত্রী সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ দেখেছেন বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
প্রসঙ্গত, সোমবার কোভিড নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীন মমতা নবান্নে বলেন, আমি রাজ্যপালকে টুইটারে ব্লক করে দিয়েছি। ব্লক করতে বাধ্য হয়েছি। আমি বাধ্য হয়ে এই কাজ করেছি। আমি দুঃখিত এর জন্য। এর জন্য আমি আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। উনি প্রতিদিন একটি করে টুইট করেন। বিভিন্ন ভাবে অভিযোগ তুলে, অসাংবিধানিক কথাবার্তা, অনৈতিক কথাবার্তা বলেন। আমাদের নির্দেশ দিতেন ওনার পরামর্শ অনুযায়ী আমাদের চলতে হবে। পরামর্শ নয়, ওনার নির্দেশ অনুযায়ী চলতে বলতেন।আমি শুনেছি, আদালত থেকে শুরু করে আয়কর, ইডি থেকে শুরু করে সিবিআই, কাস্টমস থেকে কলকাতা সিপি, ডিসি, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব সবাইকে ভয় দেখাচ্ছেন। তবে বাংলার মানুষ মাথা নত করে চলে না। মমতা আরও বলেন, ওর কাছে বহু ফাইল, অনেক বিল আটকে রয়েছে। ওনার সঙ্গে গিয়ে আমি দেখা করেছি। কথা বলেছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।' মূলত রাজ্যপালের জন্যই অনেক সরকারি কাজ আটকে রয়েছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা আরও বলেন, তিনি এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদীকেও জানিয়েছেন কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।
আরও পড়ুন, মেডিক্যালে ভর্তিতে ডোমিসাইল বি বাতিলের দাবি, আজই বাংলা পক্ষর ডেপুটেশন কর্মসূচী
অপরদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের ঘোষণার পর সাংবাদিক সম্মেলনে টুইটারে ইস্যুটি প্রকাশ্যে আসতেই দুটি টুইট করেন রাজ্যপাল। তবে এই প্রথমবার কাউকে টুইট করেননি তিনি। মমতার ঘোষণার পর এই ঘটনাটি কার্যতই নজিরবিহীন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। তিনি টুইটারে লেখেন, সাংবিধানিক রীতিনীতিকে ব্লক করা যায় না। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫৯ এ বলা আছে, সাংবিধানিক নিয়ম-নীতি ও আইনের শাসনকে কেউ ব্লক করতে পারেন না। দায়িত্বপ্রাপ্তদের উচিত দেশের সংবিধানের উপর আস্থা রাখা।' তবে মমতা এবং রাজ্যপালের এই ব্লক বিতর্ক রাজ্য-রাজনীতিতে নয়া জল্পনা তৈরি করেছে। তবে কি শেষঅবধি পিছু হঠলেন রাজ্যপাল, প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।