তীর্থ ক্ষেত্রে যেতে পছন্দ করেন অনেকেই। সাধ থাকলেও সাধ্যে হয়ে ওঠেনা অনেক সময়ই। কলকাতায় থেকেই এবার যদি এমনই এক তীর্থ যাত্রা হয়ে যায় তবে কেমন হবে? ভাবছেন তো এমনটা কি করে সম্ভব। এবার পুজোয় এমনটাই হতে চলেছে কলকাতার বুকে। কলকাতায় বসেই এবার স্বাদ পাবেন তীর্থ ক্ষেত্রে। তার জন্য তবে যেতে হবে আপনাকে হালদার বাগান সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটিতে।
আর মাত্র কটা দিনের অপেক্ষা তার পরেই আসছে পুজো। শরতের নীল আকাশ, কাশ বন আর ঘাসের উপরের শিশির যেন মায়েরই আগমণ বার্তা নিয়ে আসছে। সেই সঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর তোড়জোড়ও। পাড়ার ক্লাব গুলোর থিমের কাজ প্রায় শেষের দিকে। আকর্ষনীয় সব থিম নিয়ে এবার পুজোয় ক্লাব গুলো আসছে। এমনই এক আকর্ষনীয় থিম নিয়ে এবার পুজোয় আসতে চলেছে হালদার বাগান সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। গত বছরও সেখানকার থিমে ছিল বিশেষ চমক। গত বছর সেখানকার থিম ছিল 'নায়াগ্রা জলপ্রপাত'। এবার তবে সেখানে গেলে হবে দুর্গম পাহাড়ি পথে বৈষ্ণদেবী দর্শন।
তাদের পুজো এবার ৭৫তম বর্ষে পা দিচ্ছে। সেখানে এবার তারা মায়ের শান্তরুপি নারী শক্তির রূপকে তুলে ধরছে। শোনা যায় ভৈরো নামক এক অত্যাচারী কামুক অসুরের দৃষ্টি পড়ে কুমারি রূপী মা বৈষ্ণদেবীর ওপরে। সেই অসুরের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে মা অশ্রায় নেন দুর্গম পাহাড়ের এক গুহায়। সেই গুহাতেই তিনি বধ করেন কামুক অসুরকে। এবার সেই পাহাড় থেকে শুরু করে মা বৈষ্ণদেবী সবেরই দেখা মিলবে হালদার বাগান সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটিতে।