'বাংলাদেশি নাগরিককে নির্বাচিত করার চেষ্টা, এই দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা উচিত', বিস্ফোরক শুভেন্দু

 বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় নাম থাকায়, বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকারের নির্বাচনী পিটিশন খারিজের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এহেন মুহূর্তে কারণ জানতে চেয়ে, তৃণমূলকে বড়সড় নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

Web Desk - ANB | Published : May 21, 2022 9:09 AM IST / Updated: May 21 2022, 02:53 PM IST

 বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় নাম থাকায়, বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকারের নির্বাচনী পিটিশন খারিজের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এহেন মুহূর্তে কারণ জানতে চেয়ে, তৃণমূলকে বড়সড় নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উল্লেখ্য, দক্ষিণ বনগাঁ বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকারের নাম রয়েছে বাংলাদেশের ভোটার লিস্টে। অর্থাৎ তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। এই গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে  হাইকোর্ট। কীভাবে একজন বাংলাদেশি তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ভোটে দাঁড়াতে পারেন, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। আর এবার টুইটে তোপ দাগলেন শুভেন্দুও।

 

 

উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ-র তৃণমূল নেত্রী আলোরাণী সরকারের দায়ের করা ইলেকশন পিটিশন খারিজ হয়ে যায় কলকাতা হাইকোর্টে। আলোরানি নিজেকে ভারতীয় বলে দাবি করতে পারেন না বলে পর্যবেক্ষণ ছিল আদালতের। একুশের বিধানসভা ভোটে, বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ছিলেন আলোরাণী সরকার। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের কাছে ২ হাজার ৪ ভোটে পরাজিত হন তিনি। এরপরেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। এদিন সেই প্রসঙ্গে টেনেই শুভেন্দু অধিকারী টুইটে লিখেছেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস সংবিধানের ২৯ ধারার ৫ নং উপধারা অনুসারে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের বিধি লঙ্ঘন করছে। একজন বিদেশি নাগরিককে নির্বাচিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী তাঁরা দেশের সার্বোভৌমত্ব, ঐক্য এবং সংহতি নষ্টের চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ধরনের রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন কি বাতিল করা উচিত নয়', প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা।

 

 

উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ-র তৃণমূল নেত্রী আলোরাণী সরকারে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিয়ে খোঁচা দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি প্রশ্ন তোলেন, 'শুধু তাই নয়, ওনাকে তৃণমূল কংগ্রেস দলের বণগাঁ সাংগাঠনিক জেলার সভাপতি পদে নিয়োগ করা হয়। এরপরেও বলবে যে, দল জানতো না। কোনও অজ্ঞাত পরিচয় ব্যাক্তিকে এইভাবে গুরু দায়িত্ব দেওয়া যায় কি, এই দলের নিবন্ধীকরণ কেন বাতিল করা হবে না', বলে ফের প্রশ্ন রাখেন শুভেন্দু।

আরও পড়ুন, মুখোমুখি হতে পারেন মমতা-শুভেন্দু, জল্পনা বাড়িয়ে অপেক্ষায় সারা বাংলা

প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে বিজেপির স্বপন মজুমদারের বিপরীতে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছিল আলোরানি সরকারকে। রাজ্য জুড়ে ঘাসফুল ঝড় তুললেও বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রটিতে পদ্ম ফুটিয়েছিলেন স্বপন মজুমদার ৷ হেরে যান আলোরানি দেবী ৷ সন্তুষ্ট না হওয়ায় ওই ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেন পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী। আর এবার তা বুমেরাং হয়ে এল পাল্টা তার দিকেই।  আলোরানি সরকার বর্তমানে বীজপুরে থাকেন। তৃণমূল তাঁকে বনগাঁ দক্ষিণের প্রার্থী করে। তবে বিজেপি প্রথম থেকে অভিযোগ জানায়, আলোরানির আদিবাড়ি বাংলাদেশের বরিশালে। তাঁর স্বামী হরেন্দ্রনাথ সরকার বাংলাদেশের একজন চিকিৎসক। তবে মনোনয়নপত্রে আলোরাণী  তাঁর স্বামীর কোনও তথ্য দেননি।

আরও পড়ুন, 'বড় গাছ পড়লে মাটি কাঁপবেই', রাজীবের মৃত্যু দিবসে অধীরের টুইটে চরম বিতর্ক, মুহূর্তেই ডিলিট

আরও পড়ুন, হাইকোর্টে আবেদন খারিজ, রক্ষা কবচ পেলেন না পার্থ, ফের তলব সিবিআই-র

Read more Articles on
Share this article
click me!