ভ্যাকসিন জালিয়াতির উত্তর খুজতে কমিটি গঠন রাজ্যে। কড়া নিয়মের মধ্যে ফাঁকি দিয়ে মানুষের শরীরে প্রবেশ করা হয়েছে ভুয়ো ভ্যাকসিন। কিন্তু কি করে এত বড় কাণ্ড প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে সরকারি ক্যাম্পের আদলেই চালানো সম্ভব। কলকাতায় বসে কীভাবে এত বড় জালিয়াতি করলেন দেবাঞ্জন দেব, এই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। আর সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে রাজ্য সরকার। তাই ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের রহস্যভেদে কমিটি গঠন রাজ্যে।
ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের রহস্যভেদে উত্তর খুঁজছে রাজ্য সরকার। তাই স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে তৈরি হচ্ছে চার সদস্যের কমিটি। সেই কমিটিতে থাকবেন চারজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞ। মূলত ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়ে উত্তর খুঁজবেন তাঁরা। ভুয়ো ভ্য়াকসিনকাণ্ডে কার গাফিলতি ছিল, কীভাবে এই ক্যাম্প করলেন দেবাঞ্জন, তা খতিয়ে দেখবেন এই চার সদস্যই। তারপর রিপোর্ট জমা দেবেন স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। উল্লেখ্য ইতিমধ্য়েই ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের তদন্তে ১০ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেছে লালবাজার। গোটা বিষয়টিই খতিয়ে দেখছেন সিটের সদস্যরা।
আরও পড়ুন, আজই আদালতে ধৃত ৩, ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে এরাই দেবাঞ্জনের অন্যতম সহযোগী
প্রসঙ্গত,ভুয়ো আইএএস সেজে জেনেটিক্সে এমএসসি পাশ করা দেবাঞ্জন দেব কসবায় একটি ভুয়ো ভ্য়াকসিনেশন ক্যাম্পের আয়োজন করেন। যেখানে মূলত তৃতীয় লিঙ্গ সহ প্রতিবন্দি, স্থানীয়দের ভ্যাকসিন দেওয়ার আয়োজন করা হয়। উৎসাহিত করতে আমন্ত্রিত করা হয় অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকে। এসে ভ্যাকসিন নেন এবং প্রমোট করেন পুরো অনুষ্ঠানটি মিমি। এই অবধি ঠিকই ছিল, তবে শেষ অবধি পার পেলেন না। বুদ্ধি করে অপরাধের গুটি সাজিয়েও ধরা পড়ে যান দেবাঞ্জন। ভ্য়াকসিনের সার্টিফিকেট পেতে দেরি হওয়ায় মিমির অফিসের লোক খোঁজ করে কসবার ক্যাম্পে। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। কলকাতা পুলিশের হাত ধরেই প্রকাশ্য়ে আসে দেবাঞ্জনের অপরাধের পর্দা ফাঁস হয়।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস