কলকাতার ঐতিহ্যশালী রক্সি সিনেমা হলের নীচে দখলদার ব্যবসায়ীদের কেন উচ্ছেদ করা হবে, আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যে নোটিশ দিতে হবে কলকাতা পুরসভাকে৷ এছাড়া, দখলদার উচ্ছেদে আগামী ছ'মাসের মধ্যে সমস্ত প্রক্রিয়া নিষ্পত্তি করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কালেক্টরকে। নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
১৯০৬ সালে কলকাতা পুরসভা ৯৯ বছরের জন্য রক্সি সিনেমা হল লিজ দিয়েছিল। ২০০৫ সালে এসে ৯৯ বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। নতুন করে কলকাতা পুরসভা ওই চুক্তির মেয়াদ আর বাড়ায়নি। রক্সি সিনেমা হল গড়ে ওঠার পর সিনেমা হলের নীচে একাধিক দোকান নামমাত্র ভাড়ায় চলত। গত প্রায় ১১৩ বছর ধরে ধর্মতলার মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এভাবে নামমাত্র ভাড়ায়(যাদের কাছে ওখানে ভাড়াটিয়া হিসেবে ব্যবসা করার সঠিক ডকুমেন্টই নেই) ব্যবসা করা জনস্বার্থ বিরোধী বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
২০০৫ সালে কলকাতা পুরসভার তৎকালীন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় সিনেমা হলের নিচে থাকা দোকানগুলির নতুন করে চুক্তিতে না রেখে একটি নোটিশ দিয়ে জানান, কলকাতা পুরসভার কাছেই সরাসরি দোকান ঘরের ভাড়া মেটাতে হবে। কিন্তু কলকাতা পুরসভার মেয়র হিসেবে ফিরহাদ হাকিম নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পরেই তিনি রক্সি সিনেমা হল এর নিচে ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের জন্য নোটিশ জারি করেন। অশোক কুমার সাউ সহ কুড়ি জন ব্যবসায়ী ব্যবসা না গুটিয়ে উলটে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। মামলা চলাকালীন ওই ব্যবসায়ীরা তেমন কোনো নথিপত্র কোর্টের কাছে দেখাতে পারেনি।