
আনিস হত্যাকাণ্ডে ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে ক্ষোভের আগুন। এদিকে ছাত্র নেতা আনিস খানের (Anis Khan) হত্যাকারীদের গ্রেফতারির দাবিতে (Demanding the arrest of the killers) এ দিন পার্ক সার্কাস (Park Circus) থেকে মিছিল করে মহাকরণ অভিযানের ডাক দেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Alia University) পড়ুয়ারা। সবমিলিয়ে কয়েক হাজার প্রতিবাদকারী এদিনের মিছিলে অংশ নেন বলে জানা যায়৷ কিন্তু এই মিছিল থেকেও নতুন করে ছড়াল ক্ষোভের আগুন। বিক্ষোভকারীদের সাফ দাবি ছিল আনিস খানের খুনিদের গ্রেফতারি না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা মহাকরণের সামনে অবস্থান করবেন৷ কিন্তু পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে ছড়ায় ব্যাপক উত্তেজনা। অবরুদ্ধ হল মধ্য কলকাতার একটা বড় অংশ। এদিকে আনিস মৃত্যুর পর ৭২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হলেও এখনও অধরা অভিযুক্তরা। আর সেই কারণেই ক্ষোভে ফুঁসছে ছাত্রসমাজ।
এদিকে আনিস মৃত্যুর পর কর্তব্যে গাফিলতি ও খারাপ ব্যবহারের অভিযোগে আমতা থানার তিন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যদিও আনিসের পরিবারের দাবি, “কারা সাসপেন্ড হয়েছে, কেন সাসপেন্ড হয়েছে আমরা জানি না। আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি।” এদিন পার্কসার্কাস সেভেন পয়েন্ট ক্রশিং থেকে বেরিয়ে মৌলালি, ধর্মতলা হয়ে মিছিল এগোতেই বাড়তে থাকে চাপা উত্তেজনা। পুলিশের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান পড়ুয়ারা। সেভেন পয়েন্ট ক্রশিং অবরুদ্ধ করে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। অবরুদ্ধ হয়ে পরে দক্ষিণ কলকাতা থেকে শহরতলি এবং শহরতলি থেকে দক্ষিণ কলকাতার যোগাযোগ ব্যবস্থা। আনিস মৃত্যুর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে বনধ চলছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এসএফআই-র ডাকেই চলছে এই কর্মসূচি। এদিন সকালেই বন্ধ করে দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেট। সেখানেও রয়েছে চাপা উত্তেজনা। এমনকী প্রতিবাদীকারী ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগও সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন- আনিস মৃত্যুতে বড় পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের, কবে শুরু হচ্ছে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি
আরও পড়ুন- নয়া শিক্ষানীতির বাস্তবায়নে ব্যাপক ভাবে সাহায্য করবে এবারের বাজেট, দাবি মোদীর
অন্যদিকে ঘটনার মূল কেন্দ্রস্থল আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় সকালেই। একইসাথে ডোরিনা ক্রশিংয়েও মোতায়েন ছিল প্রচুর মহিলা পুলিশ। এদিকে এদিন দিনের শুরুতে শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরেও বেশ কিছু পড়ুয়া বিক্ষোভ দেখায়। কলেজ স্ট্রিট চত্বরে পড়ুয়াদের মিছিল পৌঁছলে উত্তেজনা আরও বাড়ে। গার্ডরেল দিয়ে মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। গার্ড রেল সরিয়ে এগনোর চেষ্টা করে বিক্ষোভরত পড়ুয়া। সেখানেও ছড়ায় উত্তেজনা।
আরও পড়ুন- সাহস থাকলে সিবিআই তদন্ত টাক রাজ্য, আনিস কাণ্ডে মমতাকে তোপ দিলীপের
আরও পড়ুন- কতটা শান্তিপূর্ণ ভোট হল উত্তরপ্রদেশে, তৃতীয় দফার নির্বাচন শেষে পাল্লা ভারী কার