সংক্ষিপ্ত

মোদী তাঁর ভাষণে আরও দাবি করেন ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি হলেই শেষ হবে আসন সমস্যা। তাঁর দাবি জাতীয় ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি অনন্য এবং অভূতপূর্ব পদক্ষেপ।

ফেব্রুয়ারির শুরুতেই এবারের বাজেট পেশ করতে দেখা যায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Finance Minister Nirmala Sitharaman)। এদিকে এই বছর থেকেই কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন (Implementation of new education policy) প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিকে মোদীর দাবি এবারের বাজেটে শিক্ষাক্ষেত্রে যে বরাদ্দ (allocation in the budget in the field of education) করা হয়েছে তাতে নয়া শিক্ষানীতির বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার ২০২২ সালের বাজেটে শিক্ষাক্ষেত্রের জন্য করা ঘোষণাগুলির দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আয়োজিত একটি ওয়েবিনারে তাঁর ভাষণ দিয়েছেন। এই ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদী শিক্ষা ক্ষেত্রে এই বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটের ইতিবাচক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তিনি শিক্ষা খাতকে আরও এগিয়ে নিতে এবং এর উন্নয়নে করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের বিষয়ে তথ্য ও পরামর্শ দেন। তরুণদের কেন্দ্রে রেখে, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “আজকের তরুণ প্রজন্ম দেশের ভবিষ্যতের ভিত্তিপ্রস্তর এবং ভবিষ্যতের জাতি নির্মাতাও। আজকের তরুণ প্রজন্মকে ক্ষমতায়ন করা মানে ভারতের ভবিষ্যতের ক্ষমতায়ন। ২০২২ সালের বাজেটে এই চিন্তা থেকেই শিক্ষা খাতে ৫টি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।”


অন্যদিকে এদিনের ভাষণে মোদী আরও বলেন, “ বর্তমানে নতুন শিক্ষানীতির দ্বারা উচ্চ-মানের শিক্ষার সর্বজনীনকরণ, ডিজিটাল দক্ষতা উন্নয়ন, নগর পরিকল্পনা এবং নকশা এবং শিক্ষার আন্তর্জাতিকীকরণের উপর অনেক বেশি মনোযোগ দেওয়া হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রীর সাফ দাবি এবারের  বাজেটটি জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP) ২০২০ বাস্তবায়নে সহায়তা করবে। পাশাপাশি মোদী বলেন, “প্রথমত মানসম্পন্ন শিক্ষার সর্বজনীনকরণ, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্প্রসারণ, এর গুণগত মান উন্নয়ন এবং শিক্ষা খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশে ডিজিটাল স্কিলিং ইকোসিস্টেম তৈরি করা হয়। তৃতীয়ত ভারতের প্রাচীন অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানকে নগর ও নকশার মাধ্যমে আজকের শিক্ষায় একীভূত করা উচিত। চতুর্থত শিক্ষার আন্তর্জাতিকীকরণ করতে হবে যাতে বিশ্বমানের বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় ভারতে আসে।পঞ্চমত AVGC- অর্থাৎ অ্যানিমেশন, ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস, গেমিং এবং কমিকস। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন যে এই সমস্তগুলিতে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে এবং এটি একটি বিশাল বিশ্ব বাজার।”

আরও পড়ুন-মেটেনি রাস্তা-জলের সমস্যা, পুরুলিয়ায় ভোট বয়কটের ডাক একাধিক ওয়ার্ডে

আরও পড়ুন-তৃতীয় দফার ভোটে উত্তপ্ত উত্তরপ্রদেশ, যাদব ঘাঁটিতে জয় আনতে মরিয়া অখিলেশ

এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর ভাষণে আরও দাবি করেন ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি হলেই শেষ হবে আসন সমস্যা। তাঁর দাবি জাতীয় ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি অনন্য এবং অভূতপূর্ব পদক্ষেপ। তিনি বলেন “আমি ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শক্তি দেখতে পাচ্ছি যে এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের দেশের আসন সমস্যা সম্পূর্ণভাবে দূর করতে পারে।”

আরও পড়ুন- টেস্টে বাদ পড়তেই বিসিসিআই-র বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ঋদ্ধি, তোপ রাহুল-সৌরভকে