মুখ্যমন্ত্রীর দিকে নিশানা করে ফের সংঘাতে জড়ালেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়। সম্প্রতি দিল্লির হিংসাকে পরিকল্পিত গণহত্যা বলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। এবার নাম না করে মমতার সেই উক্তির জবাব দিলেন রাজ্য়পাল।
সিএএ ভারতের" অভ্যন্তরীণ বিষয়", রাষ্ট্র সংঘকে বার্তা ভারতের
হাওড়ার এক অনুষ্ঠানে ধনখড় বলেন, সব ধরনের হিংসাই নিন্দনীয় হওয়া উচিত। বাছাই করে কোনও হিংসার নিন্দা করা উচিত নয়। হিংসার বিষয়ে রাজনৈতিকভাবে ভেদাভেদ থাকা উচিত নয়। এই বিভেদ মেনে নেওয়া যায় না। এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি ধনখড়। রাজ্য়পাল বলেন, দিল্লির হিংসার নিন্দা করলে, পশ্চিমবঙ্গের হিংসার ঘটনাগুলোকেও নিন্দা করুন। হিংসাকে রাজনৈতিকভাবে আলাদা করা উচিত নয়। পশ্চিমবঙ্গের হিংসার ঘটনাগুলো তো আমাকেও দুঃখ দিয়েছে। আমি বরাবরই এই হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।
রঙিন ক্যাম্পাস, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিজ্ঞপ্তিজারি কলকাতা-যাদবপুর-রবীন্দ্রভারতীর
সম্প্রতি ভুবনেশ্বরে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক পর্ব শেষ হতেই দিল্লি নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেত্রী। সোমবার নেতাজি ইন্ডোরের সভায় দিল্লির হিংসাকে পরিকল্পিত গণহত্যা বলে মন্তব্য় করলেন মুখ্য়মন্ত্রী। ফলে দেরিতে হলেও দিল্লি হিংসা নিয়ে ফের রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়ে যায় বিজেপি-তৃণমূল দ্বৈরথ। নেতাজি ইন্ডোরের মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী শুরুতেই দিল্লিতে মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নীরবতা পালন করেন। পরে দিল্লিতে হিংসার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন অমিত শাহকে। প্রশ্ন তুলেছেন দিল্লির হিংসার বিরুদ্ধেও। মমতা বলেন, পরিকল্পনা করে গণহত্যা হয়েছে দিল্লিতে। পুলিস, সেনা, আধা সেনা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এই হিংসা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
কেন কাটা হয়েছে নম্বর, এবার থেকে লিখতে হবে মাধ্য়মিকের উত্তরপত্রে
গতকালই কলকাতায় 'গোলি মারো' স্লোগান সরব হয়েছেন রাজ্য়পাল। এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, মিডিয়ার কাছে এই স্লোগান বড় বিষয় হলেও তাঁর কাছে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। সংবাদ মাধ্য়ম এই খবর ১০০ শতাংশ সেনসেশনাল হতে পারে। কিন্তু তাঁর জীবনে এই স্লোগানের গুরুত্ব ০.১ শতাংশ। সোমবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল-এ জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্য়াকাণ্ডের প্রদর্শনীর উদ্বোধনীতে এসে এমনই মন্তব্য় করলেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়।
রাজ্য়পালের মতে, ভারত ইতিবাচক ভাবধারার দেশ। সেখানে দাঁড়িয়ে এই ধরনের লঘু বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয়। এরকম একটা সময়ে সংবাদ মাধ্য়মকেও কোন খবর দেখাবে আরা কোন খবর দেখাবে না তা নিয়ে সতর্ক থাকা উচিত। আমি জানি এই রকম একটা স্লোগানের খবর মিডিয়ার কাছে ১০০ শতাংশ সেনসেশনাল। কিন্তু তাদেরও নিজেদের কর্তব্য়ের বিষয়ে ওয়াকিবহাল হওয়া উচিত।