নারদ কাণ্ডে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হল আইপিএস এসএমএইচ মির্জাকে। এই নিয়ে চতুর্থবারের জন্য তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল সিবিআই বিশেষ আদালত।
পুজোর ছুটির পর বুধবার কোর্ট খুলতেই নারদকাণ্ডে আইপিএস এসএমএইচ মির্জাকে আদালতে তোলা হয়েছিল। বুধবার ব্যাঙ্কশাল কোর্ট-এর সিবিআই বিশেষ আদালতে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। মির্জার আইনজীবীরা তাঁর জামিনের পক্ষে সওয়াল করেন। বলা হয়, এই একমাস জেলে থাকাকালীন মির্জার বিরুদ্ধে সিবিআই নতুন কোনও তথ্য তুলে ধরতে পারেনি। জেলে থাকাকালীন তাঁর কাছে গিয়ে কোনও জিজ্ঞাসাবাদও করেননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তদন্তের অগ্রগতি নেই, তাহলে কেন জেলে রাখা হবে মির্জাকে? প্রথম থেকেই আদালতে এই সওয়াল করেন মির্জার আইনজীবীরা।
সংগঠনের পদে নেই শোভন,কার কাছে ফোঁটা নেবেন ব্য়ক্তিগত বিষয় বললেন দিলীপ
অন্যদিকে, সিবিআই যথারীতি জামিনের বিরোধিতা করে। এক্ষেত্রে মির্জাকে একজন প্রভাবশালী হিসাবে দেখাতে চেয়েছে সিবিআই। একটি স্পর্শকাতর মামলায় তাঁর রাজনৈতিক যোগাযোগের ভিত্তিতে জামিন নাকচের কথা বলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীরা। দু'পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর, আদালত মির্জার জামিনের আবেদন খারিজ করে। তাঁকে ফের ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় ব্যাঙ্কশাল কোর্ট-এর সিবিআই বিশেষ আদালত। অর্থাৎ, আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে মির্জাকে।
এর আগে গত ১৪ অক্টোবর নারদ কাণ্ডে জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় মির্জার। নতুন করে আদালত তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। ৩০ অক্টোবর সেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হচ্ছে। পুজোর ঠিক আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর আদালত সিবিআইয়ের আবেদন মেনে প্রথমবারের জন্য মির্জাকে ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
কাউন্সিলর শোভন থেকেও নেই, অতীনকে নোংরা দেখালেন রত্না
নারদ মামলায় প্রথম কোনও অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে মির্জাকে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে বয়ানে অসংগতি মেলায় গ্রেফতার করা হয়। সেদিনই তাকে আদালতে তোলা হলে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত হয় মির্জার। এরই মধ্যে তাকে নিয়ে এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের এলগিন রোডের বাড়িতে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে যায় সিবিআই। সেই সময় মির্জা ও মুকুলকে মুখোমুখি বসেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানা যায়। নারদ ভিডিয়োয় নারদকর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের হাত থেকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ম্যাথুর দাবি, মুকুল রায়ের পরামর্শে মির্জার সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। সিবিআইয়ের কাছে মির্জা জানিয়েছেন, মুকুল রায়কে ওই টাকা দিয়েছেন তিনি। যদিও এ সবই তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ফাঁসাতে চাইছে বলে দাবি করেছেন মুকুল রায়।