মুসলিম ধর্মগুরুরা চোখ রাঙালেও পাশে দাঁড়ালেন জাভেদ আখতার। দুর্গা পুজোয় নুসরতের কর্মকাণ্ডের পূর্ণ সমর্থন করলেন তিনি। বিশিষ্ট লেখককে পাশে পেয়ে ধন্যবাদ জানালেন বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান।
নুসরতকে ঘিরে থামছে না বিতর্ক। কদিন আগেই দুর্গাপুজোয় অঞ্জলি দিয়ে কট্টর মৌলবাদীদের রোষের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূলের সাংসদ। প্রকাশ্য়ে প্রতিমার আরাধনা করায় নুসরতকে জ্বালিয়ে দিতে বলেছিলেন অনেকেই। টুইটারে নুসরতকে নিয়ে শুরু হয়েছিল ধর্মযুদ্ধ। মুসলিম ধর্মগুরুরা দাবি করেন, অন্য ধর্মের উৎসবে অংশ নিলেওে তাতে সক্রিয়ভাবে যোগদানের প্রয়োজন ছিল না নুসরতের। এই ধরনের কাজ করার আগে নিজের ধর্ম পরিবর্তন করে নিতে পারতেন তিনি।
আরও পড়ুন : নুসরতের বেলায় 'কালো', মমতা হিজাব পরলেই 'ভালো'
এই নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করেন উত্তরপ্রদেশের দারুল উলুম দেওবন্দের এক ধর্মগুরু। তিনি বলেন, ইসলামে আল্লা ছাড়া কারও আরাধনা করা যায় না। কেউ যদি এই ধরনের কাজ করতে চায়, তাহলে তাঁর ধর্মান্তরিত হওয়াটা আবশ্যক। এখানেই থেমে থাকেনি বিতর্ক। নুসরতের পাশে দাঁড়িয়ে বিতর্কে অংশ নেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। টুইটারে তসলিমা বলেন,একজন অমুসলিম হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় হিজাব পরে নমাজে অংশ নিলে মুসলিম ধর্মগুরুরা আনন্দিত। সেটা ধর্ম নিরপেক্ষতার উদাহরণ হয়। আর একজন অহিন্দু হিন্দু দেবীর আরাধনা করলে সেটা ইসলাম বিরোধী হয় যায়।
আরও পড়ুন : ধর্ম নিরপেক্ষরা কোথায়, নুসরতকে হত্যার হুমকি প্রসঙ্গে বললেন তথাগত
মুসলিম ধর্মগুরুদের বিরোধিতা না করলেও নুসরতের পুজোয় যোগদানের বিষয়টা সম্পূর্ণ সমর্থন করেছেন জাবেদ আখতার। টুইটারে নুসরতের সমর্থনে জাভেদ লিখেছেন,আমি নুসরতের এই কাজকে নিঃশর্তভাবে পুরোপুরি সমর্থন করছি। তবে এই বলেই থেমে থাকেননি ফারহান আখতারের বাবা। নুসরত প্রসঙ্গে গণপিটুনির প্রশ্নও টেনে এনেছেন তিনি। জাভেদ বলেন,যারা নুসরতকে সমর্থন করছেন গণপিটুনিতে মৃত গরিব পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদেরও মুখ খোলার সৎ সাহস থাকা উচিত।
আরও পড়ুন : মৌলবাদীদের রক্তচক্ষুকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ নুসরতের, ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট...