বাবাকে থাকতে দিলেও খেতে দেবেন না, বিবাদী পক্ষের এমন কথা শুনে তাজ্জব বিচারপতি

ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের। তমলুকের (Tamluk) বাসিন্দা তিনকড়ি মিত্র। বয়স ৮৫ বছরের আশেপাশে। বৃদ্ধ তিনকড়ি স্ত্রী ও পুত্রকে হারিয়েছেন। নিজের বলতে দুই মেয়ে। তাঁরা হলেন শিপ্রা সাউ ও শম্পা দত্ত। যদিও দুজনেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বুড়ো বয়সে তাঁর একমাত্র সম্বল বলতে বাড়ি খান। 

Sayanita Chakraborty | Published : Mar 9, 2022 6:46 PM IST

চলচ্চিত্রের (Cinema) থেকে এ যেন কম কিছু নয়। দু বেলা দু মুঠো খাবারের জন্য সন্তানের কাছে ভিক্ষা করতে হচ্ছে বাবাকে। বাড়ি হাতিয়ে বাবাকে রাস্তায় বসাল দুই মেয়ে। ঘটনা শুনে তাজ্জব বিচারক। প্রশ্ন তুললেন সমাজের হাল নিয়ে। 

ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের। সেখানের তমলুকের (Tamluk) বাসিন্দা তিনকড়ি মিত্র। বয়স ৮৫ বছরের আশেপাশে। বৃদ্ধ তিনকড়ি স্ত্রী ও পুত্রকে হারিয়েছেন। নিজের বলতে দুই মেয়ে। তাঁরা হলেন শিপ্রা সাউ ও শম্পা দত্ত। যদিও দুজনেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বুড়ো বয়সে তাঁর একমাত্র সম্বল বলতে বাড়ি খান। মেয়েদের বিয়ের পর সেই বাড়িও মেয়েদের নামে করে দেন। এরপরই শুরু হয় অশান্তি।  তিনকড়ি মিত্র অভিযোগ তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় মেয়েরা। পুলিশি হস্তক্ষেপেও সমস্যা সমাধান হচ্ছিল না। শেষে তিনকড়ি মিত্র মামলা করেন। উচ্চ আদালতের (High Court) দ্বারস্থ হন তিনি। আদালতে তাঁর আবেদ, বাড়ির অধিকার মেদের ওপর হস্তান্তর করার পর থেকেই অত্যাচার শুরু হয়েছিল। বাড়ি থেকে বের করে দেওয় হয় তাঁকে। নিজের বাড়িতে ফেরার ব্যবস্থা করার জন্য তিনি আর্জি জানান হাই কোর্টে। ঘটনায় বিচারপতি মান্থা বলেন, একজন প্রবীণ নাগরিককে তাঁর বাসস্থান ফিরিয়ে দেওয়া আদালতের কর্তব্য। তা না হলে চুপ করে থাকা সম্ভব নয়। 

বিচারপতি মন্তব্য শুনে মেয়েদের আইনজীবি জানান, বাড়িতে তাঁর বাবাকে থাকতে দিলেও, খাবার দিতে পারবেন না মেয়েরা। একথা শুনে চমকে ওঠেন উপস্থিত সকলে। বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘কেন এ সব অপ্রয়োজনীয় কথা বলছেন। যে বাবা সন্তানকে বড় করে তুলেছেন। সেই বাবাই এখ আদালতের দাঁড়িয়ে বলছে সন্তানরা অত্যাচার করছে। এটা উচিত নয়। এমনটা করবেন না। বাবার দেখভাল করুন। দেখবেন আপনাদের ভালো হবে।’ শুধু তাই নয়, পুলিশের ওপর তিনি দায়িত্ব দেন, তিনকড়িকে বাড়ি ফেরানোর জন্য ব্যবস্থা করতে। এমনকী, তিনি যে শান্তিতে রয়েছেন, তাও নিশ্চিত করার কথা বলেন। অত্যাচারিত তিনকড়ি মিত্রর ওপর লক্ষ্য রাখার কথাও বলেন।  
পূর্ব মেদিনীপুরের। সেখানের তমলুকের এই ঘটনায় বেশ অবাক হয়েছেন বিচারপতি। তিনি হলেন, সমাজের এ কী হাল? খাবারের জন্য সন্তানের কাছে ভিক্ষা করতে হবে বাবাকে। বিচারকের আসনে বসে, এমন শুনতে হবে তা তিনি কোনওদিন ভাবেননি বলে জানান।   

আরও পড়ুন- বন দপ্তরের গোপন অভিযানেই সাফল্য, গরুমারায় হরিণের মাংস সহ আটক ২

আরও পড়ুন- বাচ্চা চুরি করে বিক্রির অভিযোগ, ক্ষিপ্ত বাসিন্দাদের হাত থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করে আটক করল পুলিশ

আরও পড়ুন- আনিস খান-এর খুনিদের শাস্তির দাবিতে এসএফআই-এর মিছিল
 

Share this article
click me!