কর্মসূচী না, বিজেপির শুধু ধর্মসূচী রয়েছে। মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা চলছে। ওটাই ওরা প্রতিবার ভোটের আগে করে থাকে। দাবি নচিকেতার
কলকাতা পুরভোটে(KMC Election) তৃণমূলের(Trinamool-Congress) প্রচারের লক্ষ্যে আসতে চলেছে নয়া অ্যালবাম। আর সেখানেই গাইতে দেখা যাবে নচিকেতাকে। গত কয়েকদিন ধরেই এই খবর নতুন করে ঝড় তুলেছে শাসক দলের প্রচারাভিযানে। এদিকে হাতে বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। তারপরই আগামী ১৯ তারিখ ভোটের ময়দানে নামবে কলকাতাবাসী(Kolkata)। এদিকে শেষ মুহূর্তের প্রচারে এবার শাসকদলের পালে হাওয়া লাগালেন নচিকেতা(Nachiketa Chakraborty)। সেই সঙ্গে প্রচারে নেমে লাগাতার আক্রমণ শানালেন বিজেপিকে(BJP)। যা নিয়ে ফের নতুন চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তাঁর দাবি, বিজেপি ধর্মের জিগির তুলে ভোটে জেতার চেষ্টা করে। কর্মসূচী না, বিজেপির শুধু ধর্মসূচী রয়েছে। মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা চলছে। ওটাই ওরা প্রতিবার ভোটের আগে করে থাকে।
এখানেই না থেমে যে ওয়ার্ডে শিল্পীর নামে কফি শপ আছে সেখানেই প্রচার সারতে গিয়ে পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “আগামী দশ বছরেও বাংলায় ক্ষমতায় আসতে পারবে না বিজেপি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, যারাই আমার গান শোনেন তারা ধর্মের নামে মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চাইবেন না।” এদিন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের হয়ে প্রচার সেরেছেন তিনি। প্রচারে নেমে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়েরও ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। তাঁকে বলতে শোনা যায় ‘আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় সমর্থক। তাই তৃণমূলের হয়েই প্রচার করব।” একইসাথে বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের রসায়ন নিয়েও কথা বলেন, “বাপ্পার সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন ধরে দারুণ সম্পর্ক। আমরা পরস্পরকে সম্মান করি, ভালোবাসি। ওর হয়ে প্রচারে নেমেছি। কারণ এই ওয়ার্ডে যে ভালো কাজগুলি হয়েছে তা অনবদ্য।”
আরও পড়ুন-পুরভোটের আগে কলকাতায় কোটি টাকা সহ গ্রেফতার ১, তদন্তে এসটিএফ
এদিকে প্রচারে বেরিয়ে পদ্ম শিবিরের পাশাপাশি বামেদের বিরুদ্ধেও তীব্র কটাক্ষ শানিয়েছেন তিনি। নচিকেতার দাবি সিপিএম এখন সিনিয়র সিটিজেনদের দল হয়ে গিয়েছে। এদিকে এর আগেও একাধিক বার তৃণমূলের হয়ে প্রচারে নামতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এবার পুরভোটের প্রচারের ময়দানে তাঁকে পেয়ে খুশি তৃণমূল সমর্থকেরাও। অন্যদিকে নচিকেতার কড়া আক্রমণের পাল্টা কোনো প্রতিক্রিয়া এখনও যদিও বিজেপি নেতাদের দিতে দেখা যায়নি। এদিকে শেষ মুহূর্তের পুর প্রচারে জোর দিয়েছে বিজেপিও। তাদের তরফেও প্রচারে নামতে দেখা যাচ্ছে একাধিক তাবড় তাবড় তারকা প্রার্থীকে। সব মিলিয়ে পুরভোটের আবহে নতুন করে সরগরম হয়ে উঠেছে বাংলার রাজ্য-রাজনীতি।