ভোটের দিন ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে বুথের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিল কংগ্রেস এবং তৃণমূল সমর্থকরা৷ তবে এই ওয়ার্ডটি দীর্ঘদিন ধরেই কংগ্রেসের দখলে ছিল৷ এ বারেও এই ওয়ার্ডটি দখলে রাখার আশায় ছিল কংগ্রেস। এদিন ভোটের ফল ঘোষণা হতেই কংগ্রেসের আশার পালে নতুন করে হাওয়া লাগে।
ভোটের দিনও দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে। তার রেশ যেন রয়ে গেল ভোটের ফলাফল ঘোষণার দিনেও। কংগ্রেস ও তৃণমূল সমর্থকদের হাতাহাতিতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের(Netaji Indoor Stadium) বাইরে। এদিকে ভোটের দিন ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে(45 no. ward) বুথের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিল কংগ্রেস(Congress) এবং তৃণমূল সমর্থকরা(Trinamool Supporter)৷ তবে এই ওয়ার্ডটি দীর্ঘদিন ধরেই কংগ্রেসের দখলে ছিল৷ এ বারেও এই ওয়ার্ডটি দখলে রাখার আশায় ছিল কংগ্রেস। এদিন ভোটের ফল ঘোষণা হতেই কংগ্রেসের আশার পালে নতুন করে হাওয়া লাগে। ইতিমধ্যেই জয়ী হয়েছেন সন্তোষ পাঠক(Congress Leader Santosh Pathak)। এই নিয়ে চারপর এই ওয়ার্ডে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন সন্তোষ পাঠক।
এদিকে ৪০ থেকে ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে কমবেশি প্রতিটাতেই এগিয়ে বা জিতে গিয়েছেন তৃণমূল-কংগ্রেস প্রার্থীরা(Trinamool-Congress candidate)। ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডটিকেও পাখির চোখ করেছিল তৃণমূলেরা। কিন্তু দিনের শেষে জয় আসে হাত শিবিরের হাত ধরেই। এদিকে ফল ঘোষণার পর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে গণনাকেন্দ্রের বাইরে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতিতে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়৷ যার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গণনা কেন্দ্রের বাইরে। তৃণমূল প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সন্তোষ পাঠকের ছেলে রোহিত পাঠক হাওড়ার তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাদের নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন-বেলা বাড়তেই ঝোড়ো ব্যাটিং তৃণমূলের, একাধিক ওয়ার্ডে বিজেপিকে টক্কর বাম-কংগ্রেসের
এদিকে ভোটের দিন ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত তৃণমূল ও কংগ্রেসের হাতাহাতিতে বারবার উত্তেজনা ছড়ায়। এমনকী ছাপ্পা ভোটের অভিযোগও সামনে আসে। এমনকী কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠকের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ আনে ঘাসফুল শিবির। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সন্তোষ পাঠক। তবে এবার ফলাফলের দিন খোদ ছেলে রোহিত পাঠকের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মারধরের অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তি যে পাঠক শিবিরে বাড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে। তবে এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত হাত শিবিরের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এদিকে জয়ী ও কংগ্রেসের এগিয়ে থাকার নিরিখে এখনও পর্যন্ত ১৩৩টি ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃমমূল-কংগ্রেস। ১টি ওয়ার্ডে এগিয়ে বামফ্রন্ট। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৫টি ওয়ার্ডে। কংগ্রেস ২টি ওয়ার্ডে। অন্যদিকে ২টি ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে নির্দল প্রার্থীরা। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই ব্যাপক মার্জিনে এগিয়ে গিয়েছেন তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থীরা। জয়ও এসেছে অনেক আসনে।