কলকাতার ষাটোর্ধ্ব মানুষজনকে এবার শহরের ৪৪ টি কেন্দ্র থেকেই ও ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। কোভিশিল্ড যেভাবে দেওয়া চলছে সেভাবেই দেওয়া চলবে, বলে জানালেন কলকাতা পুরসভার বর্তমান প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন, মোদী নয়, কোভিড ভ্য়াকসিন নিলে শংসাপত্রতে মিলবে এবার মমতার ছবি
ইতিমধ্যেই শহর কলকাতায় প্রায় কুড়ি লক্ষ মানুষকে ফ্যাসিনেটিং করার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। আগামীকাল শহরের যেসব কেন্দ্রগুলিতে সুপার স্প্লেন্ডার গ্রুপকে সেক্সি নাইস করার কাজ চালানো হচ্ছিল সেখানে ১০০ জন করে দিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে এই কেন্দ্রগুলির স্যানিটাইজ করার উদ্দেশ্যে। শহর কলকাতায় আরো বেশ কয়েকটি ভাম্যমান বাস এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্যাক্সিনেশন এর কাজ চালানোর উদ্দেশ্যে। পাশাপাশি ১৮ থেকে ৪৪ বছর পর্যন্ত যাদেরকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ভ্যাক্সিনেশন করা হচ্ছে তাদের সার্টিফিকেটে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকবে এবং ৪৪ উর্ধ্বে যাদেরকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ভ্যাক্সিনেশন করার কাজ চালানো হচ্ছে তাদের সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি থাকবে বলে জানালেন ফিরহাদ। নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে এই বিষয়টি নিয়ে খোলসা কিছু না করলেও, নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে যে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে তার ইঙ্গিত দিলেন ফিরহাদ।
আরও পড়ুন, বদলে দিলেন সম্পর্কের সংজ্ঞা, কোভিড আক্রান্ত শ্বশুরকে পিঠে নিয়ে চিকিৎসা করাতে গেলেন বৌমা
পাশাপাশি দিলীপ ঘোষের কৌতুক মন্তব্যের উত্তরে ফিরহাদ জানালেন মানুষ বাঁচে তবেই তার সরকার থাকবে মানুষ না থাকলে সরকার থাকবে না। দেশের মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত ও গরীব মানুষের জন্য যদি বিনামূল্যে ভ্যাকসিনেশনের ব্যবস্থা না করা যায় তাহলে এই অতি মাড়ি থেকে তাদের বাঁচানোর অসম্ভব হয়ে পড়বে, রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে দেশের সরকারকে এ বিষয়টা ভাবতে হবে। তাই ভ্যাকসিন কেনার সময় জিএসটি নিয়ে দেশের সরকারের অর্থ তহবিল বাড়ানোর থেকে জিএসটি ছাড়া ভ্যাকসিনের দাম অনেক কমিয়ে দিয়ে যদি সমস্ত মানুষকে ভ্যাকসিন দিয়ে বাঁচানো যায় সেটাই এখন সভার প্রধান কর্তব্য হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করলেন ফিরহাদ। তিনি আরও বলেছেন, 'রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় থাকবে, প্রশাসন প্রশাসন এর কাজ করবে। প্রশাসনকে কখনও সর্বগ্রাসী রাজনীতির মধ্যে বিলিয়ে দিলে চলবে না। বিগত দিনে যারা বাম জমানায় ছিল তারা বর্তমান সরকারের সময়েও কাজ করছে, কংগ্রেস জমা দেয় যারা আইএএস আইপিএস এর মত আমলা ছিল, তারা বাম জামানাতে কাজ করেছে। সরকার পরিবর্তন হয়, কিন্তু আমলারা রয়ে যায়। তারাই সরকারকে পরিচালনা করে। এদেশে রাজনীতি ও আমলাতন্ত্রের মধ্যে ভারসাম্য আছে বলেই, ব্রিটিশ রুল আর এখানে প্রযোজ্য হয় না।'