মঙ্গলবার শপথ নিতে চলেছেন ফিরহাদ হাকিম। কলকাতার ৩৯ তম মেয়রের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে পুরভবন সেজে উঠেছে।
মঙ্গলবার শপথ নিতে চলেছেন ফিরহাদ হাকিম ( Firhad Hakim)। কলকাতার ৩৯ তম মেয়রের (KMC Mayor)শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে পুরভবন সেজে উঠেছে। পুরভবনের ভিতরেই মঞ্চ তৈরি করে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। অতিথিদের বসার জন্য প্রায় ৫০০ আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মূল মঞ্চে ৩০ টি আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মঙ্গলবার মেয়রের পাশাপাশি চেয়ারপার্সন এবং মেয়র পারিষদরাও শপথ নেবেন।
পুরসভ সূত্রে খবর, ২০১৫ সালে মেয়র হিসেবে টাইন হলে শপথ নিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আগে কলকাতা পুরভবনের সভাকক্ষেই সকল মেয়র শপথ নিয়েছিলেন। তবে এবারে ঘটছে তার ব্যতিক্রম। পুরসভার লনে মঞ্চ এবং মণ্ডপ তৈরি করে মেয়রের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এদিন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর মেয়র, চেয়ার পার্সন এবং মেয়র পারিষদের ঘরে নামফলক বসানো হবে। মেয়রের অফিসঘর নতুন করে সাজানো হয়েছে। মেঝেতেই নতুন কার্পেট এবং দেওয়ালে নতুন ওয়াল পেপার। শুধু তাই নয় বদল আনা হয়েছে আলোকসজজ্জাতেও। মেয়রের ঘরের টেবিল-চেয়ার সবেতেই পড়েছে পালিশ। পাশাপাশি মেয়র পারিষদের অফিসগুলিকেও নতুন করে সাজানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই নিয়ে টানা তিনবার কলকাতা পুরসভা নিজেদের দখলে রেখেছে তৃণমূল। প্রথম দুই দফায় মেয়র হয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু, দ্বিতীয় দফার মাঝামাঝি ব্যাক্তিগত কারণ দেখিয়ে মেয়র পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন শোভন। তারপরেই ফিরহাদ হাকিমের নাম ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতা পুরভোটে বিপুল বোটে জয়ী হওয়ার পর কলকাতার মেয়র পদে ফিরহাদের নাম নিয়ে তুমুল চর্চা চলছিল। যদিও নিজের পরিবার নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন তিনি। এমনকিে ফিরহাদ হাকিমের প্রার্থী হওয়া নিয়েও প্রথমে জল্পনা চলছিল। যদিও শেষঅবধি কলকাতর ৬ বিধায়ক এবং ১ সাংসদকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এবং তাঁরা প্রত্যেকেই কলকাতা ভোটে জিতে গিয়েছেন। পুরভোটে বিপুল জয়ের পর ফিরহাদ হাকিম বলেন,'এই জয়, মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের জয়। মানুষ মমতাদির উন্নয়নের উপর ভরসা রেখেছেন। এই জয় মানুষের বিশ্বাসের জয়।'
এদিন মেয়রের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে কলকাতার সকল বিধায়ক, মন্ত্রী ছাড়াও সকল সাংসদদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শহরের একাধিক বিশিষ্ট চিকিৎসকও অনুষ্ঠানে থাকেন পারেন। পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, 'শপথ নেওয়ার পরে দফতর বন্টন ঘোষণা হলেই মেয়র পারিষদের অফিস ঘরের সামনে তাঁদের নামফলক বসানো হবে। সোমবার রাতের মধ্যেই পুরভবনের লনে মণ্ডপ এবং মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হয়ে যায়। এদিন মেয়রের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে পুরভবনকে কড়া নিরাপত্তার ঘিরে ফেলা হয়েছে।'