সোমবারের আগেই শুরু হয়ে গেল চেক বিলি। বউবাজারে ক্ষতিগ্রস্তদের চেক বিলি শুরু করে দিল কেএমআরসিএল। আপাৎকালীন ক্ষতিপূরণ হিসাবে প্রত্যেক পরিবারকে দেওয়া হবে ৫ লক্ষ টাকা। উপদ্রুত এলাকার বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়ানোয় মুখ্য়মন্ত্রীকে ধন্য়বাদ জানিয়েছেন তাঁরা।
বউবাজারে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতে প্রলেপ দিতে এবার দ্রুত উদ্য়োগ নিল কেএমআরসিএল। আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবেই সিলমোহর দিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। আগেই বউবাজারে ক্ষতিগ্রস্তদের ৫লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই পথেই হাঁটল সংস্থা। আপাতত ১৯ জনকে বউবাজারে ক্ষতিপূরণের চেক দেওয়া হয়েছে।
কেএমআরসিএল-এর তরফে জানানো হয়েছে সোমবার থেকে বাকিদের টাকা সরাসরি অ্য়াকাউন্টে পড়ে যাবে। তবে ক্ষতিপূরণের টাকার পরিমাণ ১০ লক্ষ হলে ভালো হত বলে জানিয়েছেন অনেকে।
ইতিমধ্য়েই মুখ্য়মন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য ব্য়বস্থা করছে মেট্রো রেল। আগেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, যে বাড়িগুলি মেরামতি সম্ভব নয়, সেগুলি ভেঙে নতুনবাড়ি তৈরি করে দিতে হবে। এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছে মেট্রো। বাকি বাড়িগুলি সারিয়ে দেবে মেট্রো রেল। বউবাজারে বেশিরভাগই সোনার দোকান। তাই দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে দোকানও তৈরি করে দেবে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে,প্রাথমিকভাবে চেকে টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও বিকল্প পথ ভাবছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কারণ চেকে টাকা নিতে গেলে ক্ষতিগ্রস্তদের ব্য়াঙ্কের নথি দিতে হবে। বাতিল চেক না পেলে এই ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়া সম্ভব নয় ক্ষতিগ্রস্তদের। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি বলছে,বাড়ি ছাড়া হয়ে এখন অনেকের কাছেই ব্যাঙ্কের উপযুক্ত নথি নেই। সেক্ষেত্রে বিকল্প কী হতে পারে এই নিয়ে আলোচনা সেরেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে তাঁদের কাছে ৭৬টা পরিবারের তালিকা পড়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থা। তবে এই তালিকাটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে কেওমআরসিএল-এর আধিকারিকরা। তবে কোনওভাবেই তা ১০০ছাড়াবে না বলেই অনুমান সংস্থার।