সকালে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা হবে। তবে রাতে ট্রেনের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে।
তৃতীয় ঢেউ (3rd Wave) আসতেই ফের রাজ্য সরকার (West Bengal Govt) করোনা (Corona) নিয়ে একাধিক বিধিনিষেধ (Covid Rules) জারি করেছে। লকডাউন(Lockdown) নিয়ে জল্পনা বাড়ছিল ক্রমশ। এমনকী ডিসেম্বরের শেষার্ধ থেকে করোনা উদ্বেগ বাড়তে থাকায় বড়দিন ও বর্ষবরণে (Christmas and New Year) লকডাউনের ঘোষণার কথা শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে তা হয়নি।
এদিকে গত চার দিনে কলকাতার করোনা গ্রাফ (Kolkata Corona Graph) বেড়েছে চার গুণ। এমতাবস্থায় এবার জল্পনা সত্যি করেই আংশিক লকডাউনের (Partial lockdown) পথে পা বাড়ল রাজ্য সরকার (State Government)। ৩ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যব্যাপী জারি হয়ে গিয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। এই পরিস্থিতিতে কাটছাঁট করা হয়েছে কলকাতা মেট্রোর সময়সীমাতেও। মেট্রো রেল সূত্রে খবর, রাতের পরিষেবা আধ ঘণ্টা এগিয়ে এনেছে তারা।
মেট্রো রেল জানিয়েছে সকালে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা হবে। তবে রাতে ট্রেনের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। দমদম ও কবি সুভাষ থেকে শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ৯টায়। এবং রাত ৮টা ৪৮মিনিটে শেষ ট্রেন ছাড়বে দক্ষিণেশ্বর থেকে। রাত সাড়ে ৯টায় শেষ ট্রেন, আবার রাত ১০টা থেকে নৈশ কার্ফু বলবৎ হচ্ছে। এই কারণেই ট্রেনের সময়ের পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর আগেই টোকেন আপাতত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় মেট্রো রেল। নবান্নের নয়া নির্দেশিকায় স্পষ্টতই বলা হয়েছে, সন্ধ্যে ৭টার পর বন্ধ সমস্ত লাইনেই বন্ধ থাকবে লোকাল ট্রেন। তবে বাকি যে সময় লোকাল চলবে তাতে ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী উঠতে পারবেন না। যদিও স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে দূরপাল্লার ট্রেন। পাশাপাশি নবান্নের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে রাত ১০টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে বাজার, সিনেমা হল, শপিং মল। তবে বন্ধ থাকবে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ। তবে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে স্বাভাবিক ছন্দেই চলবে মেট্রো পরিষেবা। অন্যদিকে নৈশ কার্ফুর সময় শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবায় ছাড় দেওয়া হবে। অন্যদিকে বেড়ি পড়েছে সামাজিক অনুষ্ঠানে।
যে কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি উপস্থিতিতে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৫০ শতাংশ লোক নিয়ে করা যাবে সভা-সমাবেশ-বৈঠক। সুইমি-পুল-সেলুন বিউটি পার্লার বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। একইসাথে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হতে চলা দুয়ারে সরকারও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বন্ধ হয়েছে ছাত্র সপ্তাহ উদযাপনের উনুষ্ঠানও। অন্যদিকে কলকাতায় ব্রিটেন থেকে আসা বিমানেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। একইসাথে সপ্তাহে দুটির বেশি বিমান চলাচল করবে না মুম্বই বা দিল্লি থেকে কলকাতায়। পাশাপাশি যারা বিদেশ থেকে আসছেন তাদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষার পরিমাণ আরও বাড়নোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।